এবার ৩২ হাজারের অধিকাংশ চাকরিহারাদের আওয়াজ “নো ভোট টু সিপিএম-বিজেপি”

চাকরিহারা,তাদের পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে "নো ভোট টু বিজেপি", "নো ভোট টু সিপিএম"!

প্রথমে ৩৬ হাজার, তারপর সামান্য কিছুটা কমিয়ে ৩২ হাজার কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির এমন নির্দেশ খুব স্বাভাবিকভাবেই আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কিন্তু একসঙ্গে এতগুলি মানুষের জীবিকা কেড়ে নেওয়ার জন্য উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়াও। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বুলি আওড়ে হাজার হাজার নির্দোষ, যোগ্য কর্মরত শিক্ষককে বলি দেওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার গোটা বাংলা। ট্রেনে-বাসে, বাজার-হাটে, রাস্তা-ঘাটে চায়ের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে রাম-বাম উকিলদের অশুভ আঁতাতের গল্প।

রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলতে এই যে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেলেন ফেরদৌস শামিমদের মতো সিপিএম ও বিজেপি ঘেঁষা কিছু আইনজীবী। যার প্রভাব আগামিদিনে রাজ্য রাজনীতিতে পড়তে বাধ্য। এবং সেটা রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির জন্য বুমেরাং।চাকরিহারা,তাদের পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে “নো ভোট টু বিজেপি”, “নো ভোট টু সিপিএম”!

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ পোস্ট, যার সিংহভাগই বাম কিংবা বিজেপি সমর্থকদের! চাকরি হারিয়ে বাম-রাম মোহ ভঙ্গ হয়েছে তাঁদের। আগামীর নির্বাচনে সিপিএম বা বিজেপি মনোবাভাপন্ন চাকরি হারা শিক্ষদের ভোট রাম-বামের বাক্সে যে পড়ছে না সেটা নিশ্চিত! সৌজন্যে ফেরদৌস শামিমের মতো আইনজীবী।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। তাঁর বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার ৬ বছর পরেও এই মামলা কেন গ্রহণ করল সিঙ্গল বেঞ্চ? হাইকোর্টের একাধিক এজলাসে এই নিয়োগ মামলাতেই পর্যবেক্ষণ আছে। কীভাবে এত পুরনো একটি মামলা গ্রহণ করা হয়? ২০১৭ সাল থেকে ২ বছর প্রবেশন পিরিয়ড ছিল। সেই সময় কেউ চ্যালেঞ্জ করেননি কেন? বিচারপতির সিঙ্গল বেঞ্চ এই শিক্ষকদের কাউকে মামলায় যুক্ত করেননি কেন? কারও বক্তব্য শোনেননি কেন?

Previous articleচাকরি দুর্নীতি মামলা: ইডির জেরার মুখোমুখি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী
Next articleপাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে কী বললেন দিল্লির অধিনায়ক?