Thursday, August 28, 2025

এবার ৩২ হাজারের অধিকাংশ চাকরিহারাদের আওয়াজ “নো ভোট টু সিপিএম-বিজেপি”

Date:

প্রথমে ৩৬ হাজার, তারপর সামান্য কিছুটা কমিয়ে ৩২ হাজার কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির এমন নির্দেশ খুব স্বাভাবিকভাবেই আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কিন্তু একসঙ্গে এতগুলি মানুষের জীবিকা কেড়ে নেওয়ার জন্য উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়াও। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বুলি আওড়ে হাজার হাজার নির্দোষ, যোগ্য কর্মরত শিক্ষককে বলি দেওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার গোটা বাংলা। ট্রেনে-বাসে, বাজার-হাটে, রাস্তা-ঘাটে চায়ের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে রাম-বাম উকিলদের অশুভ আঁতাতের গল্প।

রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলতে এই যে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেলেন ফেরদৌস শামিমদের মতো সিপিএম ও বিজেপি ঘেঁষা কিছু আইনজীবী। যার প্রভাব আগামিদিনে রাজ্য রাজনীতিতে পড়তে বাধ্য। এবং সেটা রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির জন্য বুমেরাং।চাকরিহারা,তাদের পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে “নো ভোট টু বিজেপি”, “নো ভোট টু সিপিএম”!

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ পোস্ট, যার সিংহভাগই বাম কিংবা বিজেপি সমর্থকদের! চাকরি হারিয়ে বাম-রাম মোহ ভঙ্গ হয়েছে তাঁদের। আগামীর নির্বাচনে সিপিএম বা বিজেপি মনোবাভাপন্ন চাকরি হারা শিক্ষদের ভোট রাম-বামের বাক্সে যে পড়ছে না সেটা নিশ্চিত! সৌজন্যে ফেরদৌস শামিমের মতো আইনজীবী।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। তাঁর বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার ৬ বছর পরেও এই মামলা কেন গ্রহণ করল সিঙ্গল বেঞ্চ? হাইকোর্টের একাধিক এজলাসে এই নিয়োগ মামলাতেই পর্যবেক্ষণ আছে। কীভাবে এত পুরনো একটি মামলা গ্রহণ করা হয়? ২০১৭ সাল থেকে ২ বছর প্রবেশন পিরিয়ড ছিল। সেই সময় কেউ চ্যালেঞ্জ করেননি কেন? বিচারপতির সিঙ্গল বেঞ্চ এই শিক্ষকদের কাউকে মামলায় যুক্ত করেননি কেন? কারও বক্তব্য শোনেননি কেন?

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version