শিবলিঙ্গের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় ‘না’! জ্ঞানবাপী মসজিদ বি.তর্কে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

তবে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ, বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে এই শিবলিঙ্গ উদ্ধার বিতর্ক ঘিরে মামলা ওঠে। সদ্য এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মামলায় কার্বন ডেটিং করার ও সায়ান্টিফিক সার্ভে করার যে নির্দেশ এসেছিল, তা আরও বেশি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) কমপ্লেক্সে ‘শিবলিঙ্গ’ উদ্ধার বিতর্কে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India)। সেখানে উদ্ধার হওয়া বস্তুকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করেছে একপক্ষ, আর সেই অংশটি ঘিরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ও কার্বন ডেটিং (Carbon Dating) আপাতত পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। দিনকয়েক আগেই এই ‘শিবলিঙ্গ’ ইস্যুতে কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। দেশের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে(Archeological Survey of India) সেই মতো নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। আর এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এরপর শুক্রবার বিষয়টির স্পর্শকাতরতার কথা মাথায় রেখে  সেই পদক্ষেপ পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।

উল্লেখ্য, ২০২১-এর অগাস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। আর সেই মামলায় বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। সেই রিপোর্ট লিক হয়ে ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’ রয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়। পরে এই ভিডিও সার্ভেতে আপত্তি তোলেন জ্ঞানবাপীর মসজিদ কমিটির সদস্য ও তাঁদের আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি  সেটা আসলে একটি ফোয়ারা।

গত ২০ মে সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওজুখানা ঘিরে রাখার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তারপর নিম্ন আদলত থেকে মামলাটি বারাণসী জেলা আদালতে পাঠিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেপ্টেম্বরে সেখানে মামলাটির বৈধতা রয়েছে বলে রায় দেয় আদালত। তবে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ, বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে এই শিবলিঙ্গ উদ্ধার বিতর্ক ঘিরে মামলা ওঠে। সদ্য এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মামলায় কার্বন ডেটিং করার ও সায়ান্টিফিক সার্ভে করার যে নির্দেশ এসেছিল, তা আরও বেশি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, এলাহাবাদ কোর্টের নির্দেশের কার্যকারিতা আপাতত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অঞ্জুম ইসলামিয়া মসজিদ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। যে নির্দেশে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে ওই কার্বন ডেটিং ও সায়ান্টিফিক সার্ভের কথা বলা হয়েছিল।

এদিকে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রতিনিধিত্ব করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি কোর্টের এই নির্দেশে সম্মত হন। তবে কার্বন ডেটিংয়ের ফলে ওই কাঠামোয় ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার হাত ধরে অন্য কোনও প্রক্রিয়ায় এই সময়কাল নির্ণয়ের পথ দেখা যায় কি না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

 

Previous articleইডেনে সবুজ মেরুন জার্সি পরে নামার আগেই বিতর্ক, লখনৌর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলা হল পোস্ট
Next articleবি.স্ফোরক গাভাস্কর, রোহিতের দলের এই ক্রিকেটারের ওপর বেজায় চটেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক