ভারতের অর্থনীতিতে(Economy) জোয়ার এসেছে। তথ্য দিয়ে সম্প্রতি এমনটাই দাবি করল রেটিং এজেন্সি মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিস। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২-এ ভারতের জিডিপি ৩.৫ ট্রিলিয়ন (৩.৫ লক্ষ কোটি) মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। শুধু তাই নয়, আগামী কয়েক বছরে জি-২০ সদস্য দেশগুলির মধ্যে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারতীয় অর্থনীতি। পাশাপাশি সতর্ক করে এটাও জানানো হয়েছে, আর্থিক সংস্কার নীতি ভারতে(India) বিদেশী লগ্নিতে বাধা হতে পারে।

সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, শিক্ষিত পরিশ্রমী মানবসম্পদ এবং নগরায়নের ফলে ভারতে আবাসন, সিমেন্ট এবং নতুন গাড়ির চাহিদা ক্রমে বাড়বে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়, ইস্পাত এবং সিমেন্ট শিল্পকে আরও শক্তিশালী করবে। ভারতের কার্বন নির্গমন শূন্য করার প্রতিশ্রুতি ও পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে লগ্নি আরও বাড়বে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, চলতি দশকের বাকি বছরগুলিতে উৎপাদন এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে চাহিদা বছরে ৩ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। তা সত্ত্বেও এই ক্ষেত্রে ২০৩০ সালে চিনের থেকে অনেকটাই পিছনে থাকবে ভারতের ক্ষমতা। মুডি’স-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অর্থনীতির শক্তিশালী সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, সীমিত অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং অর্থনৈতিক নীতিগুলির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মন্থরতা, ভারতের উত্পাদন এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের গতি মন্থর করে দিতে পারে।


মুডি’স রিপোর্টের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ভারতে দুর্নীতি, বড় অর্থনৈতিক পদক্ষেপে ঢিলেমির মত সমস্যাগুলিকে দ্রুত দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে কর সংগ্রহ ও প্রশাসনকে আরও তৎপর করার বিষয়ে মোদি সরকারের প্রচেষ্টাকে ‘উৎসাহজনক’ বলা হয়েছে এই রিপোর্টে। মুডিসের দাবি, শ্রম আইনের নমনীয়তা বৃদ্ধি, কৃষি ক্ষেত্রের দক্ষতা বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উত্পাদন ক্ষেত্রে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং আর্থিক ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টাগুলি অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি বাড়াবে।
