‘ঔরঙ্গজেব নি.ষ্ঠুর ছিলেন না’! জ্ঞানবাপী মামলায় হলফনামা পেশ মসজিদ কমিটির

তবে হিন্দু পক্ষের এই দাবিই কার্যত অস্বীকার করেছে মসজিদ কমিটি। পাশাপাশি হিন্দুদের এই দাবির সপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা।

মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব (Aurangzeb) কোনওভাবেই নিষ্ঠুর ছিলেন না। বারাণসীর (Varanasi) আদি বিশ্বেশ্বরের মন্দির ধ্বংস করেননি তিনি। জ্ঞানবাপী মামলায় আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে এমনই দাবি করল মসজিদ কমিটি (Mosque Committee)। বুধবার বারাণসী আদালতে জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানি চলাকালীন হিন্দু পক্ষের দেওয়া ঐতিহাসিক তথ্য অস্বীকার করে মসজিদ কমিটি। তবে হিন্দু পক্ষ সাফ জানিয়েছে, মুসলিম আক্রমণকারীরাই বারাণসীর ওই মন্দির ধ্বংস করেন।

তবে হিন্দু পক্ষের এই দাবিই কার্যত অস্বীকার করেছে মসজিদ কমিটি। পাশাপাশি হিন্দুদের এই দাবির সপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে সমীক্ষার কাজ চালাতে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (Archaeological Survey of India) কে নির্দেশ দেয় আদালত। সমীক্ষার কাজ চলাকালীন তা ভিডিয়োগ্রাফিও করতে বলা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই সমীক্ষাতেই শিবলিঙ্গের মতো দেখতে একটি পাথর উদ্ধার করেন এএসআই আধিকারিকরা। আর সেটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই মসজিদের মধ্যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর রটে যায়। ফলে ফের নতুন করে জ্ঞানবাপী মামলা নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। মসজিদ কমিটি অবশ্য ওই পাথরটিকে প্রস্তাবিত শিবলিঙ্গ বলে মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, মসজিদের ভিতরে একটি ফোয়ারা ছিল। এই অবস্থায় বিতর্ক মেটাতে প্রস্তাবিত শিবলিঙ্গটির কার্বন ডেটিংয়ের দাবি করেন মামলাকারী লক্ষ্মী দেবী-সহ তিনজন। পাশাপাশি নিম্ন আদালতে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপরই এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে এই ইস্যুতে কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ দেয় এলাহাবাদল হাইকোর্ট। ASI-কে ওই কার্বন ডেটিং ও বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করতে বলেছে বিচারপতি অরবিন্দ কুমার মিশ্রর বেঞ্চ। এর আগে প্রস্তাবিত শিবলিঙ্গের কোনও ক্ষতি না করে কার্বন ডেটিং করা সম্ভব কিনা, তা জানতে চেয়েছিল আদালত। ASI-র তরফে এই মর্মে এলাহাবাদ হাইকোর্টে হলফনামাও জমা দেওয়া হয়। এরপরই কার্বন ডেটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। গত ১২ মে এলাহাবাদ হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেখানে প্রস্তাবিত শিবলিঙ্গের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ পিছিয়ে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এখনই এই ইস্যুতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

 

 

Previous articleবাস্তবের ‘স্লা.মডগ মিলিওনেয়ার’! ধারাভির বস্তি থেকে গ্ল্যামারের রাজ্যপাটে মালীশা
Next articleএবারও প্রতিশ্রুতিবানদের ৩ লক্ষ টাকা স্কলারশিপ দেবে বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি