Sunday, August 24, 2025

জেলা সভাপতিরা পদস্থ নেতাদের পাত্তাই দেন না, অনুপমের মন্তব্যে বেআব্রু বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল

Date:

গোষ্ঠীকোন্দল লেগেই আছে বঙ্গ বিজেপিতে।বিবৃতি পাল্টা বিবৃতিতে সেই কোন্দল মাঝে মধ্যেই বেআব্রু হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ফের দলের বিরুদ্ধেই সরব বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।এবার তার অভিযোগ, অধিকাংশ জেলা বা মণ্ডল সভাপতিরা দলের পদস্থ কর্তাদের কোনও পাত্তা দেন না।যখন তারা পদে থাকেন তখন এই ঔদ্ধত্য তাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু পদ হারানোর পরই স্বভাব বদলে ফেলেন। তখন দলের পদাধিকারিদের সুনজরে থাকার চেষ্টা করেন।

অনুপম হাজরা যা বলেছেন, তাকে সমর্থন করছেন অধিকাংশ বিজেপি নেতাই।আসলে একুশের নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পরেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট হয়ে যায়। বিজেপির একাংশে অভিযোগ করেছেন, নিচুতলার নেতাদের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই দলের শীর্ষ নেতাদের। ফলে মণ্ডল সভাপতি, জেলা সভাপতিরা অনেক ক্ষেত্রেই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে পাত্তা দেয় না। আবার একাংশের অভিযোগ, দলের উপরের স্তরের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রভাব পড়ছে নিচুতলায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক লিখেছেন, আমাদের দলের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে।বেশিরভাগ জেলা বা মণ্ডল সভাপতিরা, পদে থাকাকালীন প্রচুর হম্বিতম্বি করেন। এমন হাবভাব ‘কার্যকর্তাদের সহজে পাত্তা দেব না’।কিন্তু ‘প্রাক্তন’ হওয়া মাত্রই একটা অমায়িক মিষ্টি মানুষে পরিণত হন, যেন যে কোনও কার্যকর্তাকে সামনে পেলেই ভালবেসে জড়িয়ে ধরবেন।

এরই পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। জানি না অবশ্য আপনার অভিজ্ঞতা আবার কী? অনুপম হাজরার এই মন্তব্য ঘিরে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।অনুপমের এই মন্তব্যকে আদৌ ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারবে বিজেপির নব্য নেতারা? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version