“বিজেপি করতে চেয়েছিল, আমি বারণ করেছিলাম”: বায়রনের ‘হাত’ বদল প্রসঙ্গে বি.স্ফোরক দিলীপ

দিলীপ স্পষ্ট জানিয়েছেন, বায়রন তাঁর কাছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বছর কয়েক আগেই। যদিও সেটি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি না তা স্পষ্ট করেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।

সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সাগরদিঘির বিধায়ক (Sagardighi MLA) বায়রন বিশ্বাস (Byron Biswas)। আর দলবলদের পর থেকেই একাধিক প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসছে বায়রনের দিকে। এবার বায়রনের ‘হাত’ বদল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বুধবার দিলীপ সাফ জানান, ‘‘আমি ওকে চিনি। ও একসময় বিজেপি করতে চেয়েছিল। আমি বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম, তুমি ব্যবসায়ী বাড়ির ছেলে। বিজেপি করলে তোমার ব্যবসা করতে অসুবিধা হবে। তুমি যেহেতু সংখ্যালঘু, তোমাকে স্বীকৃতি দেবে না।’’ আর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির এমন মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। তবে দিলীপের মন্তব্য শুনে বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপির কোনও কাজ নেই। আর সেকারণেই এসব মন্তব্য করে রাজনীতিতে ভেসে থাকতে চাইছে বিজেপি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এসব করে আখেরে বিজেপির লাভের লাভ কিছুই হবে না সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিরোধীরা।

উল্লেখ্য, মাত্র মাস তিনেক আগেই উপনির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র (Sagardighi Case) থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন বায়রন বিশ্বাস। সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত ধরে রাজ্য বিধানসভার একমাত্র কংগ্রেস সদস্য বায়রনের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তারমধ্যেই বায়রন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বায়রনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কিন্তু দিলীপ স্পষ্ট জানিয়েছেন, বায়রন তাঁর কাছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বছর কয়েক আগেই। যদিও সেটি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি না তা স্পষ্ট করেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।

পাশাপাশি এদিন বায়রন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপের অভিযোগ, কংগ্রেস ওকে পেতে প্রচুর টাকা খরচ করেছে। কিন্তু বায়রন রাজনীতির লোক নন। এছাড়াও এদিন সিপিএম-কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘‘কংগ্রেস সিপিএমের কিছুই ছিল না। এখনও নেই। ল্যাংটার নেই বাটপারের ভয়।’’ উল্লেখ্য, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে যে সাগরদিঘি কেন্দ্রে জিতেছিলেন তৃণমূলের সুব্রত সাহা। তাঁর মৃত্যুতে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেন বায়রন।

 

 

Previous articleনজরে নির্বাচন: জুনে বঙ্গ সফরে ৩ হেভিওয়েট ‘ভোট পাখি’ মোদি-শাহ-নাড্ডা
Next articleখেজুরিতে মৎসজীবীদের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস অভিষেকের, অধিকারীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ স্থানীয়দের