কুস্তিগিরদের অভি*যোগকে পাত্তা না দিয়ে পাল্টা হু*মকি ব্রিজভূষণের

দিল্লি পুলিশের পক্ষে দাবি করা হয়, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে তাতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিশেষ কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি

ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে দীর্ঘ সময় ধরে সরব আন্তর্জাতিক পদকজয়ী কুস্তিগিরেরা। বিরোধী রাজনৈতিক দল, কৃষক সংগঠন, দেশের সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ কুস্তিগিরদের পাশে আছেন ঠিকই। তবে গোড়া থেকেই ব্রিজভূষণের পাশে রয়েছে সরকার। বুধবার সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম বার বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে। কুস্তিগিরদের উদ্দেশে তাই আমার অনুরোধ, তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’’

দিল্লি পুলিশের পক্ষে দাবি করা হয়, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে তাতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিশেষ কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে আদালতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট বা চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করবে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, যে নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তা-ও খারিজ হওয়ার পথে। অভিযোগকারী ওই নাবালিকা দু’বছর বয়স কম দেখানোয় ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ওই ধারা তুলে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
দিল্লি পুলিশ কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছে ধরে নিয়েই ফের ফুঁসে উঠেছেন ব্রিজভূষণ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে চার মাস কেটে গিয়েছে। আজও বলছি, একটি অভিযোগও প্রমাণিত হলে আমায় ফাঁসি দেওয়া হোক।’’ কুস্তিগিরদের গঙ্গায় পদক ফেলতে যাওয়াকে ‘নাটক ছাড়া কিছু নয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ব্রিজভূষণের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন অযোধ্যা এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী ৫ জুন অযোধ্যায় জনচেতনা মহার‌্যালি-র আয়োজন করেছেন ব্রিজভূষণ ও তাঁর সমর্থকেরা। যেখানে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ধর্মগুরুরা। সেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনে সরব হবেন ব্রিজভূষণ।
সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটদের সঙ্গে যন্তরমন্তরে পুলিশের ধস্তাধস্তির ছবি দেখে শিউরে উঠেছে দেশ। হরিদ্বারের হর কি পৌড়ি ঘাট চত্বরে পদকজয়ীদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে কৃষক সমাজ। তবু ব্রিজভূষণকে সরানোর প্রশ্নে অনড় সরকার।

শাসক শিবিরের বক্তব্য, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সরানোর প্রশ্নই নেই। কারণ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেই যদি সরিয়ে দেওয়ার নজির তৈরি হয়, তা হলে বিরোধীরা রক্তের স্বাদ পেয়ে যাবেন। পরবর্তী সময়ে কোনও অভিযোগ উঠলেই ব্রিজভূষণের উদাহরণ টেনে পদ থেকে সরানোর দাবি উঠবে।

Previous articleপঞ্চায়েত ভোট আসতেই রেস্তোরাঁ মালিকদের পকেটে স্বস্তি! রান্নার গ্যাসের দাম সস্তা হল কি?
Next article‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে যৌ*ন হেনস্থার অভিযোগ প্রেমিকার