মহাভারতের ধ্বং.সাবশেষ দিল্লিতে! পুরনো কেল্লার নীচেই উদ্ধার একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন

ইতিহাসবিদদের মতে, মহাভারতের সময়ের বিশেষত্ব ছিল এই ধরণের বাসনগুলি। পোড়ামাটির বাসনে ধূসর রঙের তার দিয়ে নকশা আঁকা হত সেই সময়ে।

এবার মহাভারতের আমলের ধ্বংসাবশেষ মিলল দিল্লিতে (Delhi)! হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। পাশাপাশি এই এলাকাটি সম্ভবত পাণ্ডবের রাজধানী ইন্দ্রপ্রস্থ (Indraprashtha) বলেই অনুমান ইতিহাসবিদদের। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাস থেকেই দিল্লির পুরনো কেল্লায় (Purana Qila) খননকাজ শুরু করে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন। এএসআইয়ের ডিরেক্টর বসন্ত স্বর্ণকার এমনটাই দাবি করেছেন। তবে পুরনো কেল্লায় খোঁড়াখুঁড়ির শুরুর মূল কারণ ছিল, এই এলাকাটি আদৌ পাণ্ডবদের রাজধানী ইন্দ্রপ্রস্থ কিনা তা খতিয়ে দেখা। আর এই দাবি ওঠার পরেই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে খননকাজের নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্বর্ণকারের আরও দাবি, দিল্লির পুরনো কেল্লার নীচেই একাধিক সময়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ধূসর রঙের তার দিয়ে নকশা করা মাটির বাসনপত্র। ইতিহাসবিদদের মতে, মহাভারতের সময়ের বিশেষত্ব ছিল এই ধরণের বাসনগুলি। পোড়ামাটির বাসনে ধূসর রঙের তার দিয়ে নকশা আঁকা হত সেই সময়ে। তবে অন্য কোনও যুগে এভাবে বাসনপত্র তৈরির কোনও প্রমাণ নেই।

 

এএসআই ডিরেক্টর (ASI Director) আরও জানিয়েছেন, দিল্লির পুরনো কেল্লায় মাটির তলা থেকে একাধিক যুগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যেই রয়েছে মৌর্য, গুপ্ত, রাজপুত সভ্যতার নিদর্শন। তবে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই বাসনপত্র থেকে জানা গিয়েছে এই সভ্যতাগুলির অস্তিত্ব। তারপরেই জানা যায়, এই এলাকার কথাই মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে। তবে এএসআই ডিরেক্টরের মতে, এখনই বলা যাবে না পুরনো কেল্লাতেই ইন্দ্রপ্রস্থ ছিল কিনা। তার জন্য অন্তত দু’বছর ধরে খননকাজ চালাতে হবে।

 

 

Previous articleউচ্চশিক্ষায় বাধা হবে না অর্থাভাব, পাশে রাজ্য: প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleআন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়াল আইওসি, বিনেশ-সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ