Wednesday, December 17, 2025

কুস্তিগিরদের পাশে আছি বার্তা দিয়ে বাংলার দুই খেলোয়াড়কে চাকরি মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

রাজধানী দিল্লির বুকে দীর্ঘ দেড়মাস ধরে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন বজরং পুনিয়া-ভিনেশ ফোগট- সাক্ষী মালিকরা। তাঁদের ওপর দিল্লি পুলিশের অত্যাচার দেখেছে গোটা দেশ। তবুও তাঁরা ভেঙে পড়েননি। কুস্তিগিরদের এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বুধবারই পথে নেমেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই আবহে দিল্লির বুকে আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের সমর্থনে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ গোষ্ঠপাল মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেই প্রতিবাদ সভায় কুস্তিগিরদের পাশে আছি বার্তা দিয়ে বাংলার দুই খেলোয়াড়কে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দুই কুস্তিগির তাঁর সামনেই কুস্তি প্রদর্শন করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদের মধ্যে একজন একশো দিনের কাজ করেও কুস্তি অনুশীলন করে। তাকে কুর্নিশ জানাই। উপস্থিত প্রতিবাদীদের উদ্দেশে তিনি ফুটবল ছুড়ে দেন।

সেই সভায় কে ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন জাতীয় হকি খেলোয়াড় গুরবক্স সিং, প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার শ্যাম থাপা, রহিম নবি, বিকাশ পাঁজি, অর্ণব মণ্ডল, আলভিটো ডি কুনাহারা। উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার, মোহনবাগান সচিব দেবাশীষ দত্ত, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে কামরুউদ্দিন আহমেদ, বেলাল আহমেদরা। উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব অনিবার্ণ দত্তও।

এই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কুস্তিগিরদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের হয়ে অলিম্পিক, এশিয়ান গেমস সহ বিভিন্ন আন্তজার্তিক প্রতিযোগিতায় যাঁরা পদক জিতেছেন তাঁরা আমাদের গর্ব। আজ তাঁদের ওপরই দিল্লির পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালাচ্ছে, আক্রমণ করছে। এটা সহ্য করা যায় না। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। কেন কেন্দ্রীয় সরকার এই ইস্যুতে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে অপসারণ করছে না সেই প্রশ্ন তুলেও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেশের মানুষ হিসেবে লজ্জা বোধ করছি’। কুস্তিগীরদের পাশে মমতা। বললেন, ‘আমি ওদের অনুরোধ করব, লড়াই ছাড়বেন না। এভাবে চলে না। এভাবে চললে কাউ না কাউকে তো প্রতিবাদ করতে হবে। যতক্ষণ না গ্রেফতার হচ্ছে, লড়াই চলবে’। ‘নন্দলাল’ বলে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।   সভার শেষে একটি মোমবাতি মিছিলেরও আয়োজন করা হয়। গোষ্ঠপাল মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে মিছিল শেষ হয় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।

 

 

spot_img

Related articles

ফের আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘিনী মৃত্যু! গত তিনমাসে মৃত ৩ রয়্যাল বেঙ্গল

ফের আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘিনীর (Tigress) মৃত্যু। বুধবার সকালে একটি  সাব অ্যাডাল্ট রয়্যাল বেঙ্গল বাঘিনীর  মৃত্যু হয়। এই নিয়ে...

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অগ্রগতি, শিলাবতী ও কাটান খালে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan) রূপায়ণের পথে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন আটকে থাকা এই...

তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে সাজা ঘোষণা, তিনদোষীর যাবজ্জীবন

পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলার অনুপম দত্ত খুনের মামলায় তিন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (TMC Councillor Murder) সাজা শোনাল ব্যারাকপুর আদালত।...

ঢাকায় হুমকি হাইকমিশনে: বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসে ক্রমাগত হুমকি। অথচ বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus) পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার নীরব। প্রতিবেশী দেশ ভারতের...