প্রকাশ‍্যে ব্রিজভূষণের নামে একাধিক অভিযোগ, ১০ অভিযোগ আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের

খবর অনুযায়ী, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৬ জন মহিলা কুস্তিগির ২১ এপ্রিল প্রথম দিল্লির পুলিশ থানায় অভিযোগ জানান।

গত ২৩ এপ্রিল থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেন বিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর গ্রেফতারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ধর্নায় বসছেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা। বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগাটরা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেছেন। দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআরও করেছেন তাঁরা। আর এবার আসল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, কুস্তিগীরদের তরফে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে ১০টি অভিযোগ এবং ২ টি এফআইআর করা হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট করে বলা আছে কোথায়, কখন, কাকে নিগ্রহ করেছেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং। সেখানে নাবালিকাকে নিগ্রহের অভিযোগও রয়েছে। তাঁরা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে বক্তব্যও রেখেছেন। সেগুলিও এফআইআরে উল্লেখ করা রয়েছে।

খবর অনুযায়ী, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৬ জন মহিলা কুস্তিগির ২১ এপ্রিল প্রথম দিল্লির পুলিশ থানায় অভিযোগ জানান। এরপর ২৮ এপ্রিল একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগিরের বাবা পুলিশের কাছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। শুধু যৌন হেনস্থাই নয়, শোনা যাচ্ছে যে ভারতীয় মহিলা কুস্তিগিরদের উপর আড়ালে নজরও রাখতেন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন প্রধান।

সূত্রের খবর, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৩৫৪, ৩৫৪এ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মহিলা কুস্তিগিরের অভিযোগ, ছবি তোলার নাম করে তাঁর শরীর ছুঁয়েছেন ব্রিজভূষণ। নিজের শরীরের দিকে জোর করে টেনে নিয়েছেন। তাঁর কাঁধ এবং বুকে হাত দিয়েছেন ইচ্ছাকৃত ভাবে। সেই কুস্তিগির জানিয়েছেন যে, কোনও রকম শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করার ইচ্ছা তাঁর ছিল না। অভিযোগ, তবুও তাঁকে বার বার উত্ত্যক্ত করেছেন ব্রিজভূষণ।

এছাড়াও অভিযোগ, একতারকা মহিলা কুস্তিগিরকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের দাবি করেছিল। যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে সেই কুস্তিগীরকে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ব্রিজভূষণ। নিশ্বাস-প্রশ্বাস দেখার নাম করে তাঁর শরীরে হাত দেন ব্রিজভূষণ। অনুশীলন করার সময় কোচের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাঁর জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে দেন অভিযুক্ত ফেডারেশন কর্তা। আরেকটি অভিযোগে বলা হয়েছে ছবি তোলার নাম করে তাঁকে কাছে টেনে নেন ব্রিজভূষণ। কাঁধ ধরে রেখেছিলেন। নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই কুস্তিগির। ব্রিজভূষণকে ধাক্কা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। তখন ব্রিজভূষণ তাঁকে বলেন, “বেশি চালাকি করতে যেয়ো না।

আরও পড়ুন:মুখ খুললেন ব্রিজভূষণ, ‘কুস্তিগিরেরা নিজেদের অভিযোগ বদলে ফেলছেন’, অভিযোগ কুস্তি সংস্থার সভাপতির