দু’দিন পর চাপে পড়ে ওড়িশার ট্রেন দু*র্ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানালেন রেলমন্ত্রী

রেল দুর্ঘটনা এড়াতে সুরক্ষাকবচ এনেছিল রেল। গত বছর থেকে ঘটা করে তার প্রচার করা হয়েছিল। স্বয়ং রেলমন্ত্রী ওই প্রযুক্তির ট্রেনে চেপে পরীক্ষামূলক ভ্রমণও করেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘কবচ’ নিয়ে রেলের যাবতীয় অহঙ্কার মাটিতে মিশে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এক ধাক্কায় অজস্র প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে এই প্রযুক্তি। এত বড় দুর্ঘটনার নেপথ্যে আসল ঘটনা কী? শুক্রবার দুর্ঘটনার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত বারবার একই প্রশ্ন সকলের মনে ঘুরপাক খেলেও কোনও উত্তর দিতে পারেনি ভারতীয় রেল। শেষমেশ সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণের কাছে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কী বললেন তিনি?

আরও পড়ুন:শেষ উদ্ধারকাজ! বুধেই পরিষেবা স্বাভাবিকের প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল
প্রাথমিকভাবে রেলের তরফে দাবি করা হয়, শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের পাশাপাশি ধাক্কা লেগেছে। তাতেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কিছু কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লুপ লাইনে দাঁড়ানো মালগাড়ির দিকে হেলে পড়ে। বস্তুত ইন্টারলকিং বা পয়েন্টারের গোলযোগের কথা শনিবার অবধি স্বীকার করেনি রেল। কিন্তু রবিবার সকালে রেলমন্ত্রী জানান,”রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশন এ নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্ত রিপোর্ট আসুক। কিন্তু আমরা দুর্ঘটনার কারণ আর কারা এর জন্য দায়ী জানতে পেরেছি।” রেলমন্ত্রী বলেন,”এটা ঘটেছে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের পরিবর্তনের জন্য। আপাতত লাইন সারানোটাই আমাদের লক্ষ্য।”


শনিবার ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ রেলমন্ত্রীর ব্যাখ্যার পর রেলের বিরুদ্ধে বড়সড় গোলযোগের যে অভিযোগ উঠেছিল, সেটাই আরও জোরাল হচ্ছে। সম্ভবত চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস যে লাইন দিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তার পাশেই লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল মালগাড়ি। কোনওভাবে পয়েন্টার বা সিগন্যালিংয়ের গণ্ডগোলের ফলে লুপ লাইনে চলে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়িটিকে। মালগাড়ির ওয়াগনের উপরে উঠে আসে করমণ্ডলের ইঞ্জিন। চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল মেইন লাইনের দিকে, আর ইন্টারলকিংয়ের পয়েন্টার ছিল লুপ লাইনের দিকে। সেটা রেলমন্ত্রীর ব্যাখ্যাই স্পষ্ট।

Previous articleশেষ উদ্ধারকাজ! বুধেই পরিষেবা স্বাভাবিকের প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল
Next articleশাস্তি বহাল, কেরালার আবেদন নাকচ করে দিল এআইএফএফ