বছর কয়েক আগে উত্তর প্রদেশে উন্নয়নের খতিয়ানের ফলাও বিজ্ঞাপন দিতে জুমলার আশ্রয় নিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথের ডাবল ইঞ্জিন সরকার। বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়েছিল কলকাতার মা উড়ালপুলের ছবি। তাই নকল হইতে সাবধান।
এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উন্নয়নের স্বার্থে নতুন প্রকল্প আনছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় চালু হতে চলেছে “দিদি ক্যাফে”! এই ক্যাফে বা ক্যান্টিনে স্বল্প মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে। একদিকে গরীব মানুষের সুবিধা, অন্যদিকে তেমন স্বনির্ভর মহিলাদের কর্মসংস্থান। উদ্যোগ ভালো। কিন্তু এটাও ”নকল”। অর্থাৎ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত মা ক্যান্টিনের আদলে যোগী রাজ্যে এবার “দিদি ক্যাফে”। বাংলা যেটা আজ ভাবে গোটা দেশে সেটা আগামির ভাবনা। বাংলাই ভারতবর্ষকে পথ দেখায়।

তাই এমন উদ্যোগ নিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মনে মনে কৃতজ্ঞতাবোধ রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের। সে কারণেই সম্ভবত ক্যাফের আগে “দিদি” শব্দটি জুড়ে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দিদি ক্যাফের ছবি পোস্ট করে তিনি।লিখছেন, “দিদি ক্যাফে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের নতুন পদক্ষেপ। মহিলা পরিচালিত সুলভ খাবারের কাউন্টার। বাংলায় অনেক আগেই পাঁচ টাকায় সুলভ লাঞ্চ চালু। ‘দিদি’ শব্দটা দেখছি মনের ভেতর একেবারে গেঁথে গিয়েছে। এরা কাজও করে বাংলার পরে, নামকরণেও অবচেতনে বাংলাকে প্রণাম জানায়। জয় দিদি। জয় বাংলা”!

জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মথুরা, লখনউ, ফিরোজাবাদ, বৃন্দাবনের মতো উত্তরপ্রদেশের ১৬টি পুরসভা এলাকায় “দিদি ক্যাফে” চালু করা হবে। সম্প্রতি সরকারের একটি বৈঠকে এই প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ একাধিক সরকারি আধিকারিক। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল আর্বান লাইভলিহুড মিশনের অধীনে স্থাপিত মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সদস্যদের উন্নয়নের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই উদ্যোগ।
