প্রচন্ড গরমে শিশুদের হিট পাইরেক্সিয়া থেকে রক্ষা করতে একাধিক সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছেন চিকিৎসকরা। প্রচন্ড রোদের মধ্যে না বেরোনো, অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। হালকা, সহজপাচ্য খাবার ও পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে। বাড়ির টালির বা অ্যাসবেসটাসের চাল, ছাদ গরম হয়ে গেলে জল ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে। নইলে ঘর অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে শিশুদের শরীর গরম হয়ে তৎক্ষণাৎ হিট পাইরেক্সিয়া হয়ে যেতে পারে।

এই গরমে এমন লক্ষণ নিয়ে অনেক শিশুই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই প্রসঙ্গে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘এই সময় অনেক শিশুদেরই এমন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে পাতলা পায়খানা কখনও ডিহাইড্রেশনও হয়ে যাচ্ছে। এই জন্য অভিভাবকদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের বেশি গরমের মধ্যে রাখা যাবে না। প্রয়োজনে ২৫-২৬ ডিগ্রি এসি ও সদ্যোজাত শিশুদের ২৭ডিগ্রি এসিতে রাখা যেতে পারে। পর্যাপ্ত জল খাওয়াতে হবে। সঙ্গে হালকা খাবার দিতে হবে। এই সময় রেসপিরেটরি ভাইরাসে অনেকসময় গলায় ইনফেকশন হয়। তা থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। সেইসঙ্গে অন্যান্য সাবধানতাগুলিও মেনে চলতে হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘গরম একটু কমলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের মধ্যে এই ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেছে।’

আরও পড়ুন- রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল
