সংসারে চরম অর্থক.ষ্টের জের! উপায় না পেয়ে মোদিরাজ্যে চ.রম পরিণতি হিরে শ্রমিকের

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রী, ২ ছেলে এবং ২ মেয়েকে নিয়ে সংসার বিনুর। মাসে আয় হত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে এই অর্থে ৬ জনের সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব।

সংসারে চরম অভাবের জের। আর তার জেরেই ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিলেন হিরে শিল্পে কর্মরত (Diamond Worker) এক ব্যক্তি। গুজরাটের (Gujrat) সুরাটের (Surat) ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, হিরে শিল্পে কর্মরত ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের বিষ (Poison) খাইয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে, ওই ঘটনায় ২ সন্তান এবং স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তবে হিরে শিল্পে কর্মরত বছর ৫৫-র বিনু মোরদিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অভাবের কারণেই এমন চরম সিদ্ধান্ত নেন বিনু।

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রী, ২ ছেলে এবং ২ মেয়েকে নিয়ে সংসার বিনুর। মাসে আয় হত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে এই অর্থে ৬ জনের সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব। শত চেষ্টা করলেও পরিবার চালাতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা। আর সেকারণেই শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেন বিনু। বুধবার সন্ধ্যায় ২ সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চলে যান একটি নির্জন জায়গায়। সেখানে গিয়ে চার জন মিলে বিষ পান করেন। ঘটনা নজরে আসতেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি ৪ জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই পর পর মৃত্যু হয় ৫০ বছরের স্ত্রী সারদা বেন, বড় ছেলে ২০ বছরের কৃষ এবং ১৫ বছরের কন্যা সেনিতার। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন বিনু।

পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত পারিবারিক অভাবের কারণেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিনু। তিনি বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন আরও দুই সন্তানকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষপানের ঠিক আগে বিনু ফোন করেছিলেন তাঁর এক ভাই প্রবীণকে। জানিয়েছিলেন, তাঁদের অবর্তমানে তাঁদের ২ সন্তানের যেন দেখভাল করেন তিনি। এরপরেই একসঙ্গে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইডের ট্যাবলেট খান তাঁরা।