মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ, রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল RBI

নয়া অর্থবর্ষের(Indian Economy) দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও রেপো রেট(Repo Rate) অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া(RBI)। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট(৬.৫ শতাংশ) অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। তবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস(Shaktikanta Das)।

এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে জিনিসপত্রের চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট। গ্রামীণ অঞ্চলেও বাড়ছে বিক্রিবাটা। তাই চলতি অর্থবর্ষে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশই থাকবে বলে আশাবাদী তাঁরা। RBI-এর অর্থ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণকারী কমিটি (MPC) যদিও জানিয়েছে, বছরভর GDP-র ওঠানা বজায় থাকবে। প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। শেষ ত্রৈমাসিকে তা কমে ৫.৭ শতাংশ হতে পারে। অর্থাৎ পূর্বাভাস বলছে, বছরের শুরুতে বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও, বছর শেষ হতে হতে গতি শ্লথ হয়ে পড়বে। বৃহস্পতিবার শক্তিকান্ত বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতি এবং অর্থ সংস্থাগুলি সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে। তাই বিশ্ব অর্থনীতি নড়বড়ে হলেও, ভারতের আশার জায়গা রয়েছে।” যে কারণে রেপো রেটেও পরিবর্তন ঘটায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তা ৬.৫ শতাংশই রাখা হয়েছে। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।

তবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আশঙ্কার জায়গা থেকে যাচ্ছে। কারণ গোড়ায়, ২০২৩-‘২৪ অর্থবর্ষে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৫.২ শতাংশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পরে তা কমিয়ে ৫.১ শতাংশ করা হয়। মুদ্রাস্ফীতিকে কমিয়ে ৪ শতাংশে আনার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তাই মুদ্রাস্ফীতি সম্ভাব্য হার তাদের অনুমানের চেয়ে বেশিই থাকছে। বিশ্ব অর্থনীতি এই মুহূর্তে যে জায়গায়, তা নিয়েও এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন শক্তিকান্ত। তাঁর মতে, বিশ্ব অর্থনীতির এমন নড়বড়ে অবস্থার জন্য দায়ী আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। সেদিকে নজর রেখেই অর্থনীতি সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।