কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে জোড়া মামলা রাজ্যের

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ঘিরে মাস কয়েক আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি।সেই ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। অবসরপ্রাপ্ত সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস, আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন ও রাজ্যের প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজ দত্তকে সিটের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করেন বিচারপতি।

কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার জোড়া মামলা করল রাজ্যের।প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার দুটি মামলারই শুনানি। জানা গিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের নিয়ে সিট গঠনের বিরোধিতা করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। এর পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডের তদন্তে সিটকে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। সেই নির্দেশেরও বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা রাজ্যের।

প্রসঙ্গত,গতকালই সিটকে রাজ্য পুলিশ সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিচারপতির মান্থার এজলাসে। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, এই অভিযোগ সত্য হলে প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে হবে।

সম্প্রতি হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কালিয়াগঞ্জ-কাণ্ডের তদন্ত করবে আদালতের গঠিত এই সিট। সিটের সদস্যরা প্রয়োজন মনে করলে, ফের দেহের ময়নাতদন্তও করতে পারবে বলে জানিয়েছিল আদালত। একইসঙ্গে হাইকোর্ট এও জানিয়েছিল সিআরপিসি অনুযায়ী, তদন্তের প্রয়োজনে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিটকে এবং প্রয়োজনে তদন্তের খাতিরে নতুন অফিসার যুক্ত করতে পারবে সিট।

কিন্তু আজ রাজ্যের জোড়া মামলার পর এখন দেখার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় কি রায় দেয়।

Previous articleপাইলটের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে: মরুরাজ্যে কোন্দলের মাঝেই দাবি গেহলটের
Next articleতীব্রতা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’! গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হল মৎসজীবীদের