তীব্রতা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’! গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হল মৎসজীবীদের

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ক্রমে উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ায় গোয়া এবং গুজরাটে এই ঝড়ের মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই ওই এলাকার মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

আগামী ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে চলেছে ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’ (Cyclone Biporjoy)। শুক্রবার সকালেই এই খবর টুইট করে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (Weather Office)। দিল্লির মৌসম ভবনের মতে, পরবর্তী দু’দিনে এই ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। টুইটে আইএমডি (IMD) আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা বেজে ৩০ মিনিটে গোয়া থেকে ৮৪০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে পূর্ব মধ্য আরব সাগরের উপরে অবস্থান করছিল অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি। মুম্বই থেকে ছিল ৮৭০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ক্রমে উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ায় গোয়া এবং গুজরাটে এই ঝড়ের মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই ওই এলাকার মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বন্দর এবং গভীর সমুদ্র থেকে তাঁদের অবিলম্বে উপকূলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে এবং বন্দরগুলিতে ‘ডিসট্যান্ট ওয়ার্নিং সিগন্যাল’ (Distant Warning Signal) উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহমেদাবাদের (Ahmedabad) আবহাওয়া কেন্দ্র সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, ১০ থেকে ১২ জুন বাতাসের গতিবেগ ৪৫ থেকে ৫৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যেতে পারে। এমনকি, ৬৫-নটিক্যাল মাইলও স্পর্শ করতে পারে।

তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে দক্ষিণ গুজরাট এবং সৌরাষ্ট্র-সহ উপকূলীয় অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি এবং বজ্রগর্ভ মেঘ-সহ ঝড় হতে পারে। সমস্ত বন্দরকে দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত তুলতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে, উপকূলীয় এলাকাগুলি থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে আসা হতে পারে। প্রয়োজনে জেলার উপকূলরেখায় অবস্থিত ২২টি গ্রামের প্রায় ৭৬ হাজার মানুষকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হতে পারে।

 

 

Previous articleকালিয়াগঞ্জকাণ্ডে বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে জোড়া মামলা রাজ্যের
Next article‘আদিপুরুষ’-এর চু.ম্বন বিত.র্কে ঘি ঢাললেন প্রাক্তন ‘সীতা’!