বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার মামলায় হলফনামা দিয়ে অব্যাহতি পেলেন ৬ আইনজীবী

আইনজীবীদের রাজনৈতিক মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু যখন আইনজীবীর গাউন পরার পরে, রাজনৈতিক পরিচয় দূরে সরিয়ে কাজ করা উচিত।

অবশেষে ক্ষমা চেয়ে, দুঃখ প্রকাশ করে মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ৬ আইনজীবী। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajashekhar Mantha) এজলাস আটকে বিক্ষোভ দেখানো, তাঁর বাড়িতে পোস্টার লাগানোয় ওই ৬জন চিহ্নিত হন। তাঁদের কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে সতর্কও করা হয়েছে।

কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বৃহত্তর বেঞ্চে নিজেদের কাজের জন্য ক্ষমা চাওয়াই নয়, অভিযুক্ত ৬ আইনজীবী হলফনামা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এর পরেই ওই মামলা থেকে ৬ আইনজীবীকে অব্যাহতি দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতির বাড়ি ও কলকাতা হাই কোর্টে পোস্টার লাগানোর অভিযোগেও চিহ্নিত ৬জনে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এ ধরনের কাজ না করেন- সেই বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করা হয়।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের দাবিতে ১০ জানুয়ারি বেশ কয়েকজন আইনজীবী হাই কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। এজলাসের দরজা আটকে তাঁরা আইনজীবীদের ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এজলাস বয়কটের দাবিতে হাই কোর্ট চত্বরে প্রচুর পোস্টার পড়ে। রাতে বিচারপতির যোধপুর পার্কের বাড়ির সামনেও একই ধরনের পোস্টার লাগনো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজন আইনজীবীকে চিহ্নিত করে পুলিশ।

এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীদের রাজনৈতিক মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু যখন আইনজীবীর গাউন পরার পরে, রাজনৈতিক পরিচয় দূরে সরিয়ে কাজ করা উচিত। ছুটির দিন রাজনীতি নিয়ে থাকুন, কিন্তু সপ্তাহের বাকি দিন কাজে মন দিয়ে আইনজীবীর ভূমিকা পালন করুন। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, হাই কোর্টের বারের মর্যাদা রক্ষার দিকে নজর দিকে আইনজীবীদের নজর রাখতে হবে।