বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বালেশ্বরের বাহনাগা হাইস্কুল। সেখানে নতুন করে স্কুলবাড়ি গড়ার কথা ভাবছে ওড়িশা সরকার। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত?

গ্রীষ্মের ছুটির পর এবার স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের পাঠাতে চাইছেন না অভিভাবকরা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হয় এই স্কুলে। অভিশপ্ত রেলদুর্ঘটনার পর মৃতদেহের স্তূপ জড়ো করে স্কুলটিকে কার্যত মর্গে পরিণত করেছিল ওড়িশা প্রশাসন। মৃতদেহ সরিয়ে সব সাফসুতরো করা হলেও অজানা আতঙ্কে ভুগছে পড়ুয়ারা। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে নানাবিধ কুসংস্কার ও অলৌকিক ঘটনার প্রচার। এর ফলে অভিভাবকরাও স্কুলে ছাত্রদের পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের হতভাগ্য যাত্রীদের মৃতদেহ রাখা হয়েছিল রেল লাইনের পাশে বাহনাগা হাইস্কুলেই। বিকৃত হয়ে যাওয়া দেহগুলি বেশ কয়েকদিন ওই স্কুলেই পড়েছিল। সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা না থাকায় দেহগুলিতে পচন ধরে। শেষপর্যন্ত সেগুলি সরিয়ে ক্লাসরুম পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু তারপর এখনও প্রবল দুর্গন্ধ স্কুলের আনাচে-কানাচে।
এর পরেই স্কুলটিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুল ভাঙার কাজ শুরু হয়। রাতেই স্কুলঘরের চালের অ্যাসবেস্টস খুলে নেওয়া হয়। শনিবার পুরো স্কুলবাড়িই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অভিভাবকদের প্রস্তাব মেনেই নতুন করে স্কুল ভবন তৈরি করা হবে। ওড়িশা সরকার ওই স্থানে একটি মডেল স্কুল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। বালেশ্বরের জেলাশাসক ওই স্কুলে গিয়েছিলেন। নিজে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পড়ুয়াদের ভয় না দেখানোর বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও অভিভাবকরা রাজি হননি। এর পর স্কুলবাড়িটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করার কথা ভাবে প্রশাসন। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় এই স্কুলটিতে। বর্তমানে সেখানকার পড়ুয়া সংখ্যা ৫৬৫ জন।

আরও পড়ুন- উত্তর পূর্ব ভারতে প্রথম, মেডিক্যালে চালু প্রবীনদের জে.রিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগ
