শনিবারও স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়! কবে রাজ্যে পাকাপাকিভাবে প্রবেশ করবে বর্ষা?  

শনিবার সকাল থেকেই শহরে আংশিক মেঘলা আকাশ। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে শনিবার বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে শুক্রবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে শহরবাসী। স্বস্তির বৃষ্টিতে (Rain) ভিজেছে তিলোত্তমা। শুক্রবার বৃষ্টির পর এক ধাক্কায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছিল তাপমাত্রা (Temperature)। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ১৯ মিলিমিটার। শনিবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। এদিকে শনিবারও কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

শনিবার সকাল থেকেই শহরে আংশিক মেঘলা আকাশ (Cloudy)। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে শনিবার বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। পাশাপাশি সোমবার থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে শুধু কলকাতাতেই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও এদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই জেলাগুলিতে একইভাবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার থেকে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলা যেমন হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং উপকূলীয় জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানেও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সোম ও মঙ্গলবার। তবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে ১৫ জুন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে আজ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। রবি থেকে বৃহস্পতির মধ্যে এই তিন জেলার বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।

তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরের প্রবল বৃষ্টি দিয়েই বাংলায় বর্ষার সূচনা হবে এবার। রবি এবং সোমবারের মধ্যে উত্তরের জেলাগুলিতে অর্থাৎ বাংলায় বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও জলপাইগুড়িতে মৌসুমী বায়ু বা বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন ৭ জুন। বাংলায় এবার দেরিতে বর্ষার আগমন হচ্ছে। এরই সঙ্গে দক্ষিণেও ঢুকবে বর্ষা। পূর্বাভাস বলছে, ১০ থেকে ১৫ জুন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের সব জেলাতে। কোথাও ভারী বৃষ্টি বা অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। অন্যদিকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে পূর্বের জেলাগুলিতে।