IIT ছাত্র-মৃ.ত্যুতে নয়া মোড়! তদন্ত কমিটি গঠন হাই কোর্টের, দ্রুত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ

কে জয়রামণের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে থাকবেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড দফতরের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং সিআইডি-র আধিকারিকরা। পাশাপাশি এদিন কলকাতা হাই কোর্ট সাফ জানিয়েছে, মৃত্যুর আসল রহস্য কিনারা করতে এই কমিটি নার্কো টেস্ট করাতে পারবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং প্রথম ময়নাতদন্তকারী অফিসার তথ্য বিকৃত করে নথি লোপাটের চেষ্টা করেছেন। এমনই দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) মৃত ছাত্রের পরিবার। আর বুধবার ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কে জয়রামণের (K Jairaman) নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha) নির্দেশ দেন, ওই ঘটনায় নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কে জয়রামণের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে থাকবেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড দফতরের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং সিআইডি-র আধিকারিকরা। পাশাপাশি এদিন কলকাতা হাই কোর্ট সাফ জানিয়েছে, মৃত্যুর আসল রহস্য কিনারা করতে এই কমিটি নার্কো টেস্ট (Narco Test) করাতে পারবে। আগামী ১৪ জুলাই তদন্তকারী দল হাই কোর্টে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবে।

বুধবারই মৃত আইআইটি ছাত্রের পরিবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং প্রথম ময়নাতদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃত করে নথি লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন। পরিবারের আর্জি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হোক। এরপরই হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, আদালত এখনই এ বিষয়ে কোনও মতামত দেবে না। নতুন তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন বিচারপতি মান্থা সাফ জানান, আপাতত এই ঘটনায় আংশিকভাবে হলেও আইআইটি কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তুলছে অভিযুক্ত  আদালত। তাই চার্জশিট (Charge sheet) পেশের আগে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কর্তৃপক্ষকে কোনওমতেই দেওয়া যাবে না।

বি টেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (B Tech Mechanical Engineering) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজানের পরিবারের দাবি দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের পর ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও ছাত্রের দেহ এখনও অসমে পাঠায়নি রাজ্য। রাজ্যের আইনজীবী এদিন সাফ জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মেডিক্যাল বোর্ড (Medical Board) গঠন করা হোক। এর পাল্টা হাই কোর্ট জানায়, এ সবের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত এগিয়ে চলবে। তবে এদিন আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, অবিলম্বে অসমে নিয়ে গিয়ে মৃত ছাত্রের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গত বছর ১৪ অক্টোবর আইআইটি-র হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর ঝুলন্ত দেহ।

 

 

 

 

Previous article‘অসুখ বিসুখ’ নিয়ে জর্জরিত কৌশিক, পাশে নেই অসুস্থ পরাণ!
Next articleসহায়কমূল্য দিতে রাজি খট্টর সরকার, হরিয়ানায় আন্দোলন তুললেন কৃষকরা