প্রার্থী ক্ষোভে দিনভর তপ্ত নন্দীগ্রামকে শান্ত করে মাঝরাতে পার্টি অফিস খুললেন কুণাল

কুণাল বিক্ষোভকারীদের সাফ জানিয়ে দেন, আগে পার্টি অফিস খুলতে হবে, তারপর আলোচনা শুরু হতে পারে। এরপর রাতেই নন্দীগ্রাম আসেন কুণাল। এবং দক্ষ নেতার মতো পরিস্থিতি সামাল দেন

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। শাসক বিরোধী অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই কিছু কিছু জায়গায় মাথাচাড়া দিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঠিক সেই আবহে জেলা পরিষদে শেখ সুফিয়ানের প্রার্থী পদ নিয়ে উত্তাল নন্দীগ্রাম। তৃণমূলেরই একটি বড় অংশ সুফিয়ানের প্রার্থী হওয়ার বিরোধিতা করে নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লক পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে বুধবার দিনভর বিক্ষোভ দেখায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। দিনভর তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতেই নন্দীগ্রামে ছুটে যান কুণাল। সকলকে শান্ত করে পার্টি অফিস খোলান তিনি। কুণালের হস্তক্ষেপেই মাঝরাতে বিক্ষোভও ওঠে। আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয়, শেখ সুফিয়ান নয়, নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লক থেকে জেলা পরিষদে শেখ সামশুল প্রার্থী হবেন।

আরও পড়ুন:“গড নাকি ফ্রডের কাজ?” ডাবল ইঞ্জিন গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ে বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের


বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, শেখ সামশুলকে প্রার্থী করতে হবে। বিক্ষোভে অংশ নেন সামশুল নিজেও। ছিলেন সদ‌্য বিজেপি থেকে আসা জয়দেব দাস, শেখ সাউদি, জেলার চেয়ারম‌্যান পীযুষ ভুঁইয়ার মতো নেতারাও। বিক্ষোভকারীদের মূল অভিযোগ ছিল, ২০২১-এ নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের ভোটে শেখ সুফিয়ানের ভূমিকা সঠিক ছিল না। বিক্ষোভকারীরা পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। সুফিয়ান বিরোধী স্লোগান ওঠে।

নন্দীগ্রামে যখন এই বিক্ষোভ চলছিল তখন কাঁথিতে জেলা সভাপতি তরুণ মাইতির সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেখানেও প্রার্থী সংক্রান্ত শেষমুহূর্তের কিছু জট খোলার জন‌্যই বৈঠক চলছিল। বিক্ষোভ থেকে কুণালের কাছে ফোন যায়। কুণাল বিক্ষোভকারীদের সাফ জানিয়ে দেন, আগে পার্টি অফিস খুলতে হবে, তারপর আলোচনা শুরু হতে পারে। এরপর রাতেই নন্দীগ্রাম আসেন কুণাল। এবং দক্ষ নেতার মতো পরিস্থিতি সামাল দেন।

উপস্থিত সংবাদ মাধ‌্যমকে কুণাল বলেন, “সকলের বক্তব্য শুনেছি। তৃণমূল একটা বড় পরিবার। একই পদে অনেকই দাঁড়াতে চান। আমি ওঁদেরকে বলেছি, আপনাদের বক্তব‌্য শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব। কিন্তু, পার্টি অফিস খোলা রাখতে হবে।’’ তখন ওখানেই স্লোগান ওঠে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় জিন্দাবাদ’, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ‌্যায় জিন্দাবাদ’, কুণালের নামেও জয়ধ্বনি দেওয়া হয়। রাতেই কুণাল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। ঠিক হয়েছে, নন্দীগ্রামের জেলা পরিষদ আসনে শেখ সামশুলকেই প্রার্থী করা হবে।

Previous articleআর কিছুক্ষণের মধ্যেই আছড়ে পড়বে ‘বিপর্যয়’!
Next articleপঞ্চায়েত রায়ের অংশ পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে রাজ্য, কী বললেন বিচারপতি?