আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আছড়ে পড়বে ‘বিপর্যয়’!

কখন আছড়ে পড়বে বিপর্যয়? এতদিন আশঙ্কার প্রহর গুণছিল সকলে। মৌসম ভবন বলছে, আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা।বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে গুজরাটের উপকূলবর্তী আছড়ে পড়বে ‘বিপর্যয়’। পাকিস্তানের এর জেরে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও পড়ুন:15-06-2023-Debiprasad_Jibon-O-Shilpakarma-Alochona Sabha – Rajya Charukala Parshad

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুজরাট এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী উপকূলবর্তী অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। গুজরাটের কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্রে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুজরাটের মাণ্ডবী এবং পাকিস্তানের করাচির নিকট জখৌ বন্দরের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় আরও উত্তর দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গুজরাট এবং পাকিস্তানের পাশাপাশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, দমন ও দিউ, লাক্ষদ্বীপ এবং দাদর ও নগরহাভেলিতে।

‘বিপর্যয়ের’ জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজস্থান, হরিয়ানা, নয়াদিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে। আগামী চার দিন এই এলাকাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও। কচ্ছ, পোরবন্দর, দ্বারকা, গির সোমনাথের মতো এলাকায় দু’দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে দেবভূমি দ্বারকার দ্বারকাধীশ মন্দিরের দরজাও। পোরবন্দর এবং ওখায় পাঁচটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি ভালসুরায় ১৫টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘বিপর্যয়ের’ কারণে মঙ্গলবার থেকেই মুম্বইয়ে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। ব্যহত বিমান ও রেল পরিষেবাও। শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ১৯৬৫ সালের পর থেকে জুন মাসে এই নিয়ে গুজরাটে তৃতীয় বার ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি।

Previous article“গড নাকি ফ্রডের কাজ?” ডাবল ইঞ্জিন গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ে বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের
Next articleপ্রার্থী ক্ষোভে দিনভর তপ্ত নন্দীগ্রামকে শান্ত করে মাঝরাতে পার্টি অফিস খুললেন কুণাল