উত্তাল হয়েছে সমুদ্র, ঢেউয়ের গর্জনে কান পাতা দায়।ভারতের গোটা পশ্চিম উপকূল জুড়েই নিজেকে বিস্তৃত করেছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় (Biparjoy)। হাতে সময় বড্ড কম, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়বে বিপর্যয়, মৌসম ভবনের (IMD) তরফে ফের সতর্ক করা হল। ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপকূল এলাকায় ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কচ্ছ, দ্বারকা, মাণ্ডবীর মতো এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে।বহু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে বিদ্যুৎহীন একাধিক এলাকা।

গত ৬ জুন আরব সাগরে এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। প্রায় ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে এটি। গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মুম্বই সহ উপকূলবর্তী এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ঘূর্ণিঝড়ের দিকে নজর রেখেছে করাচিও। ইতিমধ্যেই শক্তি বৃদ্ধি করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বিপর্যয়৷ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা যখন বাড়ছে তার মাঝেই সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানকে মাথায় রেখে আগেভাগে মহাকাশ থেকে সেই সাইক্লোনের ছবি তুললেন মহাকাশচারী সুলতান আলনেয়াদি। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ডিং। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (International Space Station) থেকে তোলা সাইক্লোনের সেই ভয়ঙ্কর ছবিতে দেখা যাচ্ছে সাইক্লোনের ‘চোখ’। সেই চোখকে কেন্দ্র করেই ঝোড়ো মেঘের বলয় তৈরি হয়েছে।
মৌসম ভবনের (IMD) বলছে এই মুহূর্তে গুজরাটের জাখাউ পোর্ট থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে সাইক্লোন বিপর্যয় (Cyclone Biparjoy)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তা স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ আর গতিবিধিকে লক্ষ্য করে অনুমান করা হচ্ছে যে বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঝড়ের প্রভাবে হাওয়ার বেগ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে গুজরাটে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) ১৮টি দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল সক্রিয় রয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারীরা উপকূল এলাকার গ্রামগুলি প্রায় ফাঁকা করে দিয়েছেন।


দৈত্যের মতো ফুঁসছে সমুদ্র, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনবরত মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। বিপর্যয়ের তাণ্ডবের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ৭৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
