পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayet Election) সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শাসকদলের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও আসল সত্য হল কোনও রকম অশান্তি ছাড়া নির্বিঘ্নেই হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। এমনকি ত্রিস্তরিয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু জেলাপরিষদেই প্রায় ১০০ শতাংশ মনোনয়ন হয়েছে। শুক্রবার কাকদ্বীপে নবজোয়ার যাত্রার শেষ দিনে তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। একইসঙ্গে বাম জমানার উদাহরণ তুলে তিনি বললেন, বাম জমানার সেই দুঃসহ স্মৃতি কাটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি আমরা।

শুক্রবার নবজোয়ার কর্মসূচির শেষ দিনের জনসভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৮০’র দশকে, ৯০-এর দশকে কীভাবে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হত আমরা দেখেছি। সিপিএম সুপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসকে বাংলার ঢুকিয়ে দিয়ে গেছিল। তার ইতি টানতে আমরা নবজোয়ার ও গ্রামবাংলার মতামত করেছি। আজ জেলাপরিষদে প্রায় ১০০ শতাংশ মনোনয়ন হয়েছে। এটাই গণতন্ত্র, যা আমরা উদ্ধার করে মানুষকে তার অধিকার ফিরিয়েছি যা সিপিএম হরণ করেছিল। ওরা বলতে পারবে না আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারিনি। আপনারা তথ্য পরিসংখ্যান দেখুন।” তিনি আরও বলেন, এই ৬০ দিনে আমরা কোনও হোটেলে গিয়ে আরাম করিনি। মানুষের মাঝে গিয়ে তাঁদের মতামত নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থী ঠিক করেছি।

এর সঙ্গেই টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে যারা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, “তৃণমূলের ঝাণ্ডা যার হাতে থাকবে সেই তৃণমূলের প্রার্থী। যদি কেউ দলীয় শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ায়, তবে স্পষ্টভাবে বলছি পার্টির সঙ্গে যে বাইমানি করবে যতদিন তৃণমূল থাকবে ততদিন তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। দলীয় শৃঙ্খলার উর্ধ্বে কেউ নয়।” একইসঙ্গে অভিষেক এই ৬০ দিনের কর্মসূচি প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, “এই নবজোয়ার যাত্রার শুরুতে অনেকে অনেক কিছু বলেছিল। কিন্তু আমরা ২ মাস এই কর্মসূচি করে তাঁদের জবাব দিয়ে দিয়েছি। একদিন সিবিআই নোটিস দিয়েছিল যাতে তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা পণ্ড করা যায়। সিবিআই যত নোটিস দিয়েছে, তৃণমূলের নবজোয়ার জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা, যত আঘাত, তত শক্ত।”
