ঘনঘন লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের সহযোগিতা চেয়ে বিবৃতি জারি সিইএসসির

এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা শনিবার বিবৃতি জারি করেছে সিইএসসি । লোডশেডিংয়ের কারণ তুলে ধরার পাশাপাশি উপভোক্তাদের দেওয়া হয়েছে পরামর্শও।

একদিকে তীব্র দাবদাহ, তার উপর ঘন ঘন লোডশেডিং।এই দুইয়ে মিলিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় শহরবাসীর। কখনও দিনে, আবার কখনও রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট কলকাতাবাসী। এই পরিস্থিতিতে সিইএসসি-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন শহরবাসী। কিন্তু পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি।

সিইএসসি -র বিরুদ্ধে শহরবাসীর ক্ষোভ, সহ্যের সীমা পেরোতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা শনিবার বিবৃতি জারি করেছে সিইএসসি । লোডশেডিংয়ের কারণ তুলে ধরার পাশাপাশি উপভোক্তাদের দেওয়া হয়েছে পরামর্শও।সিইএসসি -র বিবৃতি অনুযায়ী, ‘আমাদের শহরে অপ্রত্যাশিতভাবে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ছে। স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বাড়ছে তাপমাত্রা। বিগত বহু বছর ধরে আমরা সফলভাবে শহরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পেরেছি। ১৬ জুন ২০২৩-র ২৬০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা আমরা পূরণ করতে পেরেছি।’

সিইএসসি বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘এই পরিস্থিতিতে, আমরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি তাঁরা যেন তাঁদের এয়ার কন্ডিশনারগুলির ন্যায়সঙ্গতভাবে ব্যবহার করেন এবং সিইএসসি অনুমোদিত বিদ্যুতের লোডসীমা বজায় রাখার চেষ্টা করেন। এটা আমাদের ওভারলোডিংয়ের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে সঠিকভাবে পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে। এই বিষয়ে আমরা আন্তরিকভাবে সকল গ্রাহকের সহযোগিতা চাই।’

সিইএসসির এই বিবৃতিতে গ্রাহকরা আশস্ত্ব হলেও, সবাই চাইছেন দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি।

 

Previous articleরাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের
Next articleবাম-বিজেপির গোপন আঁতাত ফাঁস! “নওশাদ বিবৃতি দিন”, সরব কুণাল