প্রথম ইনিংসেই বাজিমাত বর্ষার! আজ কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?

বর্ষার আগমন হতেই প্রায় রোজই ভিজছে দক্ষিণবঙ্গ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। সকাল থেকে রোদের দেখা মেলেনি। বৃহস্পতি ও শুক্রবারও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।আর এই লাগাতার বৃষ্টির ফলে নামবে রাজ্যের তাপমাত্রার পারদ। স্বস্তি পাবেন রাজ্যবাসী। যার ফলে শহরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কম থাকবে।

আরও পড়ুন:চিনের নামকরা রেস্তরাঁর ভয়া.বহ বিস্ফো.রণ! ঝল.সে মৃ.ত ৩১

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে অবস্থান করছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খণ্ড, বিহার, সিকিমের বেশিরভাগ অংশ এবং গোটা উত্তরবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রভাব বিস্তার করেছে। বর্ষা প্রবেশের পর ভারী বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতে ভিজেছিল দক্ষিণবঙ্গ। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রপাতও হয়েছিল একাধিক জায়গায়। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবারও একইরকম আবহাওয়া বজায় থাকবে। আর শুক্রবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়বে মৌসুমী বায়ু। ফলত এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টি বাড়বে। সবমিলিয়ে বলা যেতে পারে, উত্তর থেকে দক্ষিণ- গোটা রাজ্যেই বর্ষা প্রবেশ করে ফেলবে আগামী দু’দিনের মধ্যেই।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গেও । উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এই দুই জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিং কালিম্পং-সহ উপরের পাঁচ জেলায়ও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। ফলে তিস্তা, তোর্সা জলঢাকা-সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বেশকিছুটা বেড়েছে। বিপদসীমা ছুঁয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৭ থেকে ৮৯ শতাংশ।

Previous articleচিনের নামকরা রেস্তরাঁর ভয়া.বহ বিস্ফো.রণ! ঝল.সে মৃ.ত ৩১
Next articleতৃণমূলের দখলে মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, সবুজ আবিরে বিজয় উৎসব