মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে রাজ্যের প্রতিটি পঞ্চায়েতেই (Panchayat Election 2023) বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির কর্মিসভা থেকে এই আহ্বান জানালেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দুটি কর্মী সভা করেন তিনি। প্রথম সভাটি ছিল কাঁথির সাতমাইলে। পরের সভাটি হয় উপকূলবর্তী এলাকার নয়াপুটে।

কর্মিসভায় কুণাল বলেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে ভোট দিন। দুটো সরকার, একটা কেন্দ্রের সরকার, যাঁরা প্রতিদিনই খাদ্যশস্য থেকে পেট্রোল, ডিজেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে চলেছে। উল্টোদিকে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার লক্ষ্ণীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রীর মতো একের পর এক জনমুখী প্রকল্প নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা মিথ্যে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু বাংলার মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই বাতিল বিজেপির সঙ্গেই এখন জোট বেধেছে কংগ্রেস, সিপিএম ও আইএসএফ। তাঁরা এখন তৃণমূলকে হারাতে জোট বেধে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে। কিন্তু মানুষের আশীর্বাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল (TMC) ফের জয়ী হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েতেই তৈরি হবে তৃণমূলের বোর্ড। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হলেও তৃণমূলের তাতে কিছু যায় আসে না। বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আট দফায় ভোট হয়েছিল। কী হয়েছিল, সবাই জানে। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কুণাল বলেন, প্রতিটি ভোটার পিছু একটা করে জওয়ান দিক, তারপরেও বিপুল ভোটে তৃণমূল জিতবে।

রাজ্যপালকে এদিন নিশানা করে কুণাল বলেন, বিজেপির প্ররোচনায় রাজভবন থেকে সমান্তরাল সরকার চলছে। এসব বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না। কর্মিসভায় এদিন রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন কুণাল। রাজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি এই জেলায় রাজ্য সরকার যে সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করেছে তাঁর সুফলগুলিও তিনি তুলে ধরেন। দিঘায় জগন্নাথ ধাম তৈরি হচ্ছে। একে কেন্দ্র করে জেলার পর্যটনে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের ১২ লক্ষ ৪৪ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। ৫ লক্ষ ৩২ হাজার পড়ুয়া রাজ্য সরকারের স্কলারশিপ থেকে উপকৃত। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন ১৪ লক্ষ ৮৯ হাজার মানুষ। এইভাবে মহিলা থেকে ছাত্র-যুব সব শ্রেণীর মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।


