প্রয়াত লরেটো সিস্টার্সের সিস্টার সিরিল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭। ভারতে শিক্ষাবিস্তারে এক অন্যন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে সিস্টার সিরিলকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শিক্ষামহল। সিস্টার সিরিলের মৃত্যুতে মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন:আজ থেকে শুরু কলকাতা লিগ, প্রথম ম্যাচে DHFC মুখোমুখি সার্দান
রবিবার সকালে লরেটো সিস্টার্সদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে একটি টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। টুইটবার্তায় মমতা লেখেন, ‘একজন বিশিষ্ট শিক্ষা সংস্কারক,সমাজকর্মী এবং দরিদ্রের বন্ধু লরেটো সিস্টার্সের সিস্টার সিরিলের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। রাষ্ট্রীয় কল্যাণ প্রকল্পে তাঁর অবদান অপরিসীম ছিল। লরেটো সিস্টার্সদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’

প্রসঙ্গত, ১৯৩৬ সালে আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলেও ১৯৫৬ সালে ভারতে এসে শিক্ষা বিস্তারে বিরাট কর্মকাণ্ড স্থাপন করেন সিস্টার সিরিল। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া শিক্ষামহলে। ১৯৭৯ সালে লরেটো ডে স্কুল শিয়ালদহতে (কলকাতা) প্রিন্সিপাল পদ যোগদান করেন। তাঁর তত্ত্বাবধনায় লরেটো ডে স্কুলে বহু সংস্করণ হয়। প্রিন্সিপাল হিসাবে তাঁর মেয়াদকালে, এমন এক উচ্চ শ্রেণির বেসরকারি স্কুলে রূপান্তরিত হয় লরেটো যেখনে দরিদ্র,জাতি,ধর্ম নির্বিশেষে সকল ছাত্রীকে পড়ানো হত। তাঁর অবদান শিক্ষা জগতে এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে আজীবন।