সেনাবাহিনীতে পাক নাগরিক! CID’র পাশাপাশি CBI-কেও তদন্তের নির্দেশ আদালতের

ভারতীয় সেনায়(Indian Army) পাক নাগরিকের যোগ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে আগেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এই ঘটনার তদন্ত সিআইডির(CID) পাশাপাশি সিবিআইয়ের(CBI) হাতেও দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কলকাতা হাইকোর্টের(Kolkata HighCourt) বিচারপতি রাজাশেখর সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি জানান, দেশের নিরাপত্তায় সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সিআইডির তদন্তে এটা স্পষ্ট যে অভিযোগের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।

ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানি নাগরিকের নিয়োগ নিয়ে এক মামলা দায়ের হয়েছিল বিচারপতি রাজাশেখর মামলার এজলাসে। এই মামলার তদন্ত সিআইডির হাতে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। এদিন মামলার শুনানিতে আদালতে রাজ্য জানায়, “অভিযোগের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। আমরা যা পেয়েছি তাতে অভিযোগ গুরুতর বলেই মনে হচ্ছে। যথেষ্ট সিরিয়াস ইস্যু।” তারা জানিয়েছে, “CID বেশকিছু তথ্য পেয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা অভিযুক্ত একজনকে গ্রিল করেছে। কিছু পদক্ষেপ করেছে সেনা। কিন্তু গ্রেপ্তার না কি আটক সেটা বলতে পারব না।” রাজ্যের দাবি, “এই ঘটনার গভীরতা কতটা সেটা বুঝতে পারছি না। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম-সহ বহু রাজ্যের যোগ আছে। আমরা ছাপাখানা চিহ্নিত করেছি। যেখানে ডমিসাইল সার্টিফিকেট-সহ জাল নথি ছাপা হয়।”

রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, “সিআইডি, সিবিআই ও সেনাকে দেশের নিরাপত্তার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। কোনওভাবে যেন সেনার সঙ্গে সিবিআই বা সিআইডি’র সংঘাত না হয়। কারণ এখানে মূল ঘটনা সেনার ভিতরে।” আদালত জানিয়েছে, সেনা ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি একযোগে তদন্ত করবে। রাজ্যের সিআইডি তাদের হাতে আসা তথ্য নথি ও সহযোগিতা সেনাকে দিয়ে সাহায্য করবে। সিবিআই প্রাথমিক অনুসন্ধান করবে। সেনা প্রয়োজনে রিপোর্ট দিতে পারে। আগামী শুনানিতে সিবিআই ও সিআইডিকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। ২৬ জুলাই পরবর্তী শুনানি।

Previous articleবিমানের মেঝেতে ম.ল-মূ.ত্র ত্যাগ! ফের শিরোনামে এয়ার ইন্ডিয়া
Next articleবীরভূমে নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁ.শিয়ারি শতাব্দীর