হাইকোর্টে রাজীব সিনহা! পঞ্চায়েত ভোটের বাকি বাহিনী নিয়ে কী জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার

জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেন বিচারপতি।

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) কী আদৌ মিলবে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home Affairs) ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছেই। এরই মাঝে বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiv Sinha)। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সশরীরে উপস্থিত হলেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে এদিন রাজীব সিনহাকে সামনে পেয়ে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন কোনও মামলার বিষয়ে কী আপনি আদালতে এসেছেন? জবাবে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, একটি মামলার হলফনামা দাখিলের বিষয়ে তিনি হাইকোর্টে এসেছেন।

পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাপারেও ইতিবাচক কথা শোনা যায় রাজীব সিনহার গলায়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে বাহিনী আসবে। মাঝে কয়েকদিন ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে জট ছিল। তবে বর্তমানে তা খুলেছে। পাশাপাশি এদিন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, প্রতি বুথে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে? জবাবে তিনি বলেন, এখনও হিসাব করা হয়নি। তবে সময় মতো সবটা ঠিক করা হবে। অন্যদিকে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানো প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাজীব সিনহা সাফ জানান, এখনও পর্যন্ত যা নির্ঘণ্ট তাতে এক দফাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।

জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেন বিচারপতি। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এর আগে হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অতীতে ভোটে হিংসার কথা মাথায় রেখেই পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। তাদের বক্তব্য ছিল, এর আগের ভোটগুলিতে বাংলায় ভয়ঙ্কর ছবি দেখা গিয়েছিল। তার জন্য়ই পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন। তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ১২ জুনের সিদ্ধান্ত এদিন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

 

 

 

Previous articleপাথর ভাজা! খাবেন, কিন্তু গিলবেন কি
Next articleনিচু জা.তের সঙ্গে প্রেম! তরুণীকে মে.রে ঝুলিয়ে দিলেন বাবা, মারা.ত্মক কাণ্ড প্রেমিকের