মাসছয়েক পর ৪ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন(Assembly Election), তার আগে রাজ্যে রাজ্যে চলতে থাকা দলীয় কোন্দল দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে উদ্যোগী কংগ্রেস(Congres)। এই তালিকায় ছিল ছত্তিশগড়ও। এখানে মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের (Bhupesh Baghel) বিরোধী হিসাবে পরিচিত টি এস সিংদেও। অসন্তোষ মেটাতে সিংদেওকে এবার ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসাল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছত্তিশগড়ে(Chattishgar) যে দলীয় ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তা আপাতত সামলে নেওয়া গেল।

বাঘেলের বিরুদ্ধে সিংদেও-এর বিক্ষোভের জেরে ছত্তিশগড় কংগ্রেসের মধ্যে রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ উঁকি দিতে শুরু করে। বিবাদে ইতি টানতে বুধবার দলের ছত্তিশগড়ের নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi), মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। তাতে সিংদেও এবং বাঘেল দু’জনেই উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকের পর বুধবার রাতেই ঘোষণা করা হয় সিংদেও উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন। সিংদেও নিজেও সুর খানিকটা নরম করে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হয়েছেন। যার অর্থ, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ফের বাঘেলের নেতৃত্বেই লড়বে কংগ্রেস। হাত শিবিরের আশা, দলের বিবাদ মিটে যাওয়ায় ছত্তিশগড়ে দলের ভাল ফলের ব্যাপারে আশাবাদী কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ছত্তিশগড়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। দল ক্ষমতায় ফেরার আগে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। সেসময় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ভুপেশ বাঘেলের পাশাপাশি এগিয়ে ছিলেন ত্রিভুবনেশ্বর শরণ সিংদেও বা টি এস সিংদেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রাহুল গান্ধীর ইচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রী হন ভুপেশ বাঘেল। তখন ঠিক হয়েছিল আড়াই বছর পর টিএস সিংদেওকে(TS Singh Deo) মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। কিন্তু আড়াই বছর পরে সেই চুক্তি মানেননি বাঘেল। যার জেরে বিদ্রোহ শুরু করেন টি এস সিংদেও। একটা সময় তাঁর দল ছাড়ারও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ টালমাটাল পরিস্থিতির পর আপাতত উপমুখ্যমন্ত্রী পদ দিয়ে সিংদেও সংঘাত সামাল দিল হাত শিবির।
