নিরপেক্ষতার অজুহাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন অযৌক্তিক: মত সুখেন্দুশেখরের

রাজ্য পুলিশ নিরপেক্ষ নয় বলে যদি বিরোধীরা অভিযোগ করতে পারেন, তা হলে কোন যুক্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিরপেক্ষ বলা যেতে পারে? শুক্রবার মহাজাতি সদনে তৃণমূলের (TMC) আইনজীবী সেলের সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Shekhar Ray)।পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরপেক্ষতার অজুহাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত কতটা অযৌক্তিক, তাঁর ব্যাখ্যা দেন তিনি।

কেন্দ্রের সরকার যেহেতু বিজেপির। সেই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী তো তাদের কথা মতোই চলবে। এটাই স্বাভাবিক। তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি যেহেতু রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত, তাই যে কেউ চাইলেই এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী যখন তখন মোতায়েন করা যায় না। সংবিধানে কোথাও একথা বলা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার দায়িত্ব তো রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কেন্দ্রের উদ্দেশ্যটা আসলে স্পষ্ট। সুখেন্দুশেখর রায় মনে করিয়ে দেন, ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০১৬ এবং ২১এর বিধানসভা নির্বাচনেও তো আনা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে কিন্তু কিছুই আসে যায়নি তৃণমূলের। প্রতিবারই ভোটও বেড়েছে, আসনও বেড়েছে। এবারেও সেটাই হবে।

এদিনের সভায় আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Malay Ghatak), বিধায়ক অশোক দেব, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব, রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বার কাউন্সিল সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়- প্রত্যেকেই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দিকে ঐক্যবদ্ধভাবে আইনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপরে জোর দেন। ২১জুলাইয়ের সমাবেশকে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুন- Panchayat Election 2023: বাহিনী কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার

 

Previous articleপ্রস্তাব আগারকারের, প্রধান নির্বাচকের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের : সূত্র
Next articleদু’ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক ইস্টবেঙ্গলের, ভিসা-জটে কুয়াদ্রাত