রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ইতিহাসে রেকর্ড মনোনয়ন, সব বুথেই বাহিনী চাইছি: অভিষেক

পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের সাবলীন উত্তর দেন অভিষেক। মনোনয়ন থেকে শুরু করে প্রাক-নির্বাচনী সংঘর্ষ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সহ একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি

পঞ্চায়েত ভোট প্রচারের একেবারে শেষলগ্নে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবের আমন্ত্রণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের সাবলীন উত্তর দেন অভিষেক। মনোনয়ন থেকে শুরু করে প্রাক-নির্বাচনী সংঘর্ষ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সহ একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

মনোনয়ন নিয়ে অভিষেক বলেন, “এবার প্রায় ২ লক্ষ ৩৬ হাজার মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। যার মধ্যে বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার মনোনয়ন জমা দিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের ইতিহাসে যা রেকর্ড। সিপিএম জমানার পরিকল্পিত সন্ত্রাসে ইতি টানতে পেরেছি। কিছু কিছু জায়গায় তো আবার সিপিএম-বিজেপি একসঙ্গে প্রার্থী দিয়েছে আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে। তাদের সেসব প্রচারের ছবিও এসেছে আমার কাছে।”

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ফের মুখ খুলতে শোনা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাহিনীকে স্বাগত জানান। অভিষেকের কথায়, ”আমি সব জায়গায় বলেছি ১০০ শতাংশ মনোনয়ন হবে। কিন্তু বিরোধীরা চলে যাচ্ছে আদালতে, একদফায় ভোট হবে না ৫ দফায় ভোট হবে। তারা চলে যাচ্ছে আদালতে না কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। কেন্দ্রীয় বাহিনীতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আপত্তি জানিয়েছে। কমিশন ভেবেছে যে ক্ষমতা হ্রাস হচ্ছে বা সঙ্কুচিত হচ্ছে। সেই কারণে আদালতে গিয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিচারব্যবস্থা মনে করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছে। আমাদের অভিপ্রায় যদি খারাপ হত তাহলে তো দলের তরফ থেকে আমি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারতাম। কিন্তু আমি তো বলিনি। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি হাইকোর্টকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশে দিয়েছে বলে। প্রতিটি বুথে ৫ জন করে বাহিনী দিক। আমরাও সেটাই চাইছি।”

ভোট পূর্ববর্তী সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “সব মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। অনভিপ্রেত। এটা না হলেই ভালো হতো। আমরা চাইবো এই ১৭-কে শূন্যতে। তবে শান্তিপূর্ণ ভোট করতে হলে বিরোধেদেরও ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে।” পাশাপাশি ভাঙড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুধু ভাঙড় বলে নয়, আমার চাই সব জায়গাতেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। ভাঙড়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা অবঞ্ছিত, না ঘটলে বেশি খুশি হতাম।”

এদিন কেন্দ্রীয় বাহিন প্রসঙ্গে ত্রিপুরার উদাহরণও টানেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় তো ২৫ বছর সিপিএম-এর ক্ষমতা ছিল। ত্রিপুরায় ১০ গুণ সন্ত্রাস হয়। বাংলায় যদি একটা ঘটনা ঘটে, ত্রিপুরায় ১০টা হয়। রাজ্য সরকার আদালতে চাইলে যেতে পারে। সেখানে দলের কোনও বক্তব্য নেই। দল ও রাজ্যসরকার পৃথকভাবে চলে।”

নির্দলদের সাসপেন্ড প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, ”এমন নয় যে সমস্ত নির্দলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যাঁরা তৃণমূলে ছিল, কিন্তু টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়েছেন, তাঁদের দল বিরোধী কাজের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেটা প্রথম দিন থেকে বলা হয়েছে। সেটাই করা হয়েছে।”

Previous articleভালবাসার নামে নৃ.শংসতা,প্রেমিকাকে জীবন্ত ক.বর দিল যুবক!
Next articleভারতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে বিরাট বার্তা রিঙ্কুর