Sunday, November 9, 2025

লক্ষীবারে জমজমাট পঞ্চায়েতের শেষ প্রচার, শিরোনামে নন্দীগ্রাম!

Date:

শেষ হল পঞ্চায়েতের প্রচার (Panchayet Campaign)। লক্ষীবারে একে অপরকে টেক্কা দিতে ব্যস্ত শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলি। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। শেষ দিনে ৯৬ জনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এর মধ্যে রয়েছেন হুগলির ১৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুর ২২ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর ২২ জন, নদিয়ার ৫ জন, ঝাড়গ্রাম ২১ জন, মুর্শিদাবাদ ৪ জন, বীরভূম ৬ জন। বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৩০ জন কর্মীকে বহিষ্কার করেছে শাসক দল। তৃণমূল (TMC)নেতৃত্বের তরফে এদিন একটি তালিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, কোন জেলা থেকে কত জন কর্মীকে তাঁরা দল থেকে সাসপেন্ড করছেন। নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে।

আগামী শনিবার রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু কোন বুথে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)মোতায়েন ঘিরে এত জটিলতা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট প্রচারের শেষ দিনে ফের তা বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, অতীতেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে এবং তাতে তৃণমূলের জয় আরও বড় হয়েছে। এদিন প্রচারের শিরোনামে উঠে এল নন্দীগ্রাম। সেখানে বাজার মোড়ে চলছিল তৃণমূলের প্রচার সভা। উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের (Nandigram)বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)এবং দলের অন্যান্যরা। হঠাৎই সেখানে এসে পৌঁছল নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। বিরোধী দলনেতার গাড়ি সামনে আসতেই “চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা” বলে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। শুভেন্দুকে দৃশ্যতই বিরক্ত হতে দেখা যায়।

 

কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ রাজ্যের সব জেলায় জেলায় আজ জমজমাট প্রচার। উত্তর থেকে দক্ষিণে তৃণমূল, বিজেপি, বাম কংগ্রেস, ISF এবং নির্দল প্রার্থীদেরও ভোট প্রচার করতে দেখা যায়। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে একের পর এক মৃত্যুর খবর এসেছে। শেষদিনে দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সব মিলিয়ে ২৭ দিনে মোট ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

 

 

Related articles

‘অরণি সরণি’, উৎপল সিনহার কলম 

প্রথমে সিমেন্টের রাস্তায় লোহার ঠেলাগাড়ির আওয়াজ তারপর চিৎকার , ' ময়লা আছে? ' ছুটে যাই । উপুড় করে দিই ডাস্টবিন। ভাবি যদি সব ময়লা...

ফর্ম বিলি করতে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক! SIR-আতঙ্কে মৃত্যু এবার BLO-র

কারো নাম নেই ভোটার তালিকায়, কারো পরিচয়ে ভুল। এই সব আতঙ্কে যখন রাজ্যে একের পর এক সহনাগরিকদের মৃত্যু...

সংকটে ভারতীয় ফুটবল, কঠিন সময়ে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই তারকা

ভারতীয় ফুটবলে বিপণন করার কেউ নেই।দেশের সর্বোচ্চ লিগ না হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ভারতীয় ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।...

কীভাবে দত্তাবাদে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী: এবার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা। সোনার ব্যবসা করতেন নিউটাউনের দত্তাবাদে। দেহ পাওয়া গেল যাত্রাগাছির কাছে। খুনে নাম জড়ালো জলপাইগুড়ির...
Exit mobile version