বাহিনী নিয়ে মিথ্যাচার কেন্দ্রের! BSF-র দাবি উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাল্টা তো.প কমিশনের

শনিবার নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। যেসব বুথে অশান্তি হয়েছে, সেখানে কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের (Cenrtal Force) বিশেষভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। আর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যথেষ্ট সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বিএসএফ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে। এমন আবহেই রবিবার তৃণমূলের (TMC) তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, শনিবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরাই মারা গিয়েছেন। পাশাপাশি বাহিনী মোতায়েন নিয়েও মিথ্যাচারের জবাব দিয়ে তৃণমূল সাফ জানায়, বিএসএফ (BSF) ঠিক সময় বাহিনী পাঠাতে না পেরে নানারকম ছুতো বার করছে। যত বাহিনী কমিশন চেয়েছিল তা দেওয়া হয়নি। বিএসএফ-র কাছে রিজার্ভ ফোর্স (Reserve Force) নেই, এটা কখনোই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত করা যাদের কাজ, সেই বাহিনীকে কেন সীমান্ত থেকে আনা হল? সেই প্রশ্নও রাজ্যের শাসক দলের তরফে।

তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে একাধিকার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একাধিকবার চিঠি চালাচালি করলেও আখেরে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে নির্বাচনের দিনও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। লে, অরুণাচলের মতো জায়গা থেকে জওয়ানদের তড়িঘড়ি উড়িয়ে আনার পরও সঠিক বুথে মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি। আর এসবের পর বিএসএফ-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাফাই, তাঁরা স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নাকি ঠিকমতোই পায়নি বলেই ঠিকমতো জওয়ান মোতায়েন করা যায়নি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা সাফ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে একাধিকবার রাজ্যে পা রাখার পর জেলার নোডাল অফিসারদের যোগাযোগ করে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু সময়ের অভাবে তাঁরা সেই কাজ করতে পারেননি উল্টে কমিশনের নির্দেশ মতো ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে অনেক দেরিতে। এর পিছনে যে কমিশনের কোনও দায় নেই তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয় ভারতের, অর্ধশতরান হরমনপ্রীতের

 

Previous articleভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নতুন ভূমিকায় ইশান্ত
Next articleসোমবার পঞ্চায়েতের ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন! ঘোষণা কমিশনের