গ্রাম হাতছাড়া হলেও পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী ভাঙড়ের দাপুটে নেতা আরাবুল

প্রাক পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফায় দফায় রক্তাক্ত হয়েছে আরাবুল গড় হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকা। মঙ্গলবার নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর দেখা গেল তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের(Arabul Islam) নিজের গড় ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত(panchayat) হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। এখানে ২৪টি আসনের মধ্যে বেশিরভাগ আসনেই জয়ী হয়েছে আইএসএফ(ISF) এবং জমি কমিটি। তবে পঞ্চায়েত হাতছাড়া হলেও, পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৪৪৮ ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল(TMC)।

মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর আরাবুল ইসলাম বলেন, “আমি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছি পোলেরহাট ২ কোনওমতে রক্ষা করা যাবে না। এখানে সাতটি প্রার্থী হেরেছে আমাদের। হতেই পারে। বাকি জায়গায় জিতেছি।” তিনি আরও বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের কর্মীদের উপর লাগাতার অত্যাচার হয়েছে। প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই জানতাম যে এখানে খারাপ ফল হবে।” এবছর পোলেরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েতে এবার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ২৪। সব আসনেই এবার লড়াই করে জমি রক্ষা কমিটি এবং আইএসএফ (ISF) সমর্থিত নির্দলরা। জানা গিয়েছে, এই ২৪ আসনের বেশিরভাগেই জয়ী হয়েছেন জমি কমিটির নির্দলরা। ফলাফল স্পষ্ট হতেই এদিন গণনাকেন্দ্র ছাড়েন আরাবুল। তবে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ১০টা পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯ টিতেই জয়ী তৃণমূল।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর থেকে বার বার শিরোনামে উঠে এসেছিল ভাঙড়। মনোয়নপর্ব থেকে রাজনৈতিক হিংসায় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। তৃণমূল ও আইএসএফের সংঘর্ষে ৩জনের মৃত্যুও হয়েছে। তারপরও বারে বারে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। এমন কি আরাবুলের ছেলের গাড়ির ড্যাসবোর্ড থেকে বোমাও উদ্ধার হয়। যা ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় সরব হয় বিরোধীরা। হিংসা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ভোট গণনার দিনেও দিল্লি থেকে ফিরে সরাসরি ভাঙড়ে উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে।

Previous articleকী কথা হয় কাছের বন্ধু বিরাট সঙ্গে? জানালেন সুনীল
Next articleসম*কামীদের ছবি প্রদর্শন বন্ধ স্কটিশ চার্চ কলেজে, বাড়ছে বিত*র্ক!