জিএসটিকে আর্থিক তছরূপ আইনের আওতাভুক্ত করা হবে কেন? ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে মানুষকে গ্রেফতার ও হেনস্থা করার কাজে লাগানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সরব হলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে গলা মেলান একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজ্যের প্রতিনিধিরাও।

ইডি, সিবিআইয়ের মত এজেন্সিগুলির অপব্যবহার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৫০তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সামনেই এর বিরুদ্ধে চড়া সুরে প্রতিবাদ জানান বাংলার অর্থমন্ত্রী। গত ৭ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, এবার থেকে জিএসটিকে আর্থিক তছরূপ আইন বা পিএমএলএ-র আওতাভুক্ত করা হবে। অর্থাৎ যিনি পণ্য ও পরিষেবা কর প্রদান করেন, এবার থেকে প্রয়োজনে আর্থিক তছরূপ আইনে তাঁকে বিচার ও শাস্তি দেওয়া যাবে। এই বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বিরোধীরা একযোগে চেপে ধরেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে জিএসটিকে আর্থিক তছরূপ আইনের আওতায় আনার বিরোধিতা করে সরব হন দিল্লির অর্থমন্ত্রী। তাঁর পাশে দাঁড়ান বাংলার অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তেলেঙ্গানার মতো অবিজেপি রাজ্যের প্রতিনিধিরা।

বিরোধীদের চাপের মুখে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, বিষয়টি নিয়ে পরে আলোচনা হবে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, আমরা দেখেছি ইডিকে কীভাবে মানুষকে হেনস্থা এবং গ্রেফতার করার কাজে লাগানো হচ্ছে। আমরা এর বিরোধিতা করে আলোচনার দাবি জানিয়েছি। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রস্তাব দেন, জিএসটি নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ আসছে, তার দিকে নজর রাখা হোক। তা না করে, কেন এই কর কাঠামোকে আর্থিক তছরূপ আইনের আওতাভুক্ত করা হবে?

আরও পড়ুন- জোট থেকে ঘোঁট, বিরোধীদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে তৃণমূলেই আস্থা বাংলার গ্রামের
