রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে ভারতের (India) সম্পর্ক প্রথম থেকেই মধুর। আগে থেকেই রাশিয়ার তেলের (Oil) অন্যতম ক্রেতা ভারত। দীর্ঘ দিন ধরেই তেলের বাণিজ্যে রাশিয়া এবং ভারতের লেনদেন চলছে। আর সময় যত গড়িয়েছে সেই তেল কেনাবেচা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে ইউক্রেনের (Ukraine)। কিন্তু সেই নেহরু জমানা থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের (Soviet Union) প্রতি কিছুটা ঝুঁকে ছিল ভারত। আর সেই মজবুত সম্পর্কের জেরেই ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। উল্টে পশ্চিমের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে মস্কো থেকে সস্তায় অশোধিত তেল কিনেছে মোদি সরকার। তবে এবার বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল রাশিয়া। জানা যাচ্ছে, ভারতকে নাকি আর কম দামে তেল দিতে চাইছে না তারা। আর রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্তের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনগণের টাকায় লাগাতার বিদেশ সফর করলেও দেশবাসীর জন্য তেলটুকু কিনতে প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সূত্রের খবর, খোলা বাজারের তুলনায় শুরুর দিকে ভারতকে ব্যারেল প্রতি ২৫ থেকে ৩০ ডলার ছাড় দিচ্ছিল রুশ তেল সংস্থাগুলি। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ব্যারেল প্রতি ৪ ডলারে। আর সেকারণেই রুশ তৈল সংস্থাগুলি থেকে সস্তায় বিপুল পরিমাণে অশোধিত তেল কিনছে ইন্ডিয়ান অয়েলের মতো ভারতের সরকারি সংস্থাগুলি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতীয় শোধনাগারগুলি বিপুল পরিমাণে রুশ তেল কিনছে। তবে শর্ত হচ্ছে, সেই পণ্য পৌঁছে দিতে হবে বিক্রেতাকে অর্থাৎ বিমা ও পরিবহণের খরচ ব্যবস্থাও করতে হবে তাদের। এবার এই ব্যবস্থায় নাকি আপত্তি জানাচ্ছে রুশ সংস্থাগুলি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রুশ তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার বেঁধে দিয়েছে জি-৭ তালিকাভুক্ত দেশগুলি। নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সেই অঙ্ক থেকে ১ বা ৩ ডলার কম দামে তেল বিক্রি করছে রাশিয়ার সংস্থাগুলি। তবে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলি থেকে পরিবহণ খরচ হিসেবে ব্যারেল প্রতি ১১ থেকে ১৯ ডলার করে নিচ্ছে তারা। যা সাধারণের থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
