বর্ষা (Monsoon) শুরু হতেই বঙ্গোপসাগরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইলিশের (Hilsa) দল। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ প্রায়শই উঠতে দেখা যাচ্ছিল কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমার জেলেদের জালে। এবার মুখে চওড়া হাসি দিঘার (Digha) জেলেদের (Fishermen)। জানা গিয়েছে, রবিবার দিঘার মোহনা থেকে ২৫ টনের মতো ইলিশ উঠেছে জেলেদের জালে। এক একটি ইলিশের ওজন ১ কিলো থেকে দেড় কিলোর আশপাশে। দাম কিলো প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকার আশপাশে। রয়েছে ৪০০, ৫০০ গ্রামের ছোট ইলিশও। যা বিক্রি হচ্ছে আবার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কিলো দরে। সপ্তাহ শেষে দিঘায় সমুদ্র সৈকতের রূপ উপভোগ করতে গিয়েছেন বহু মানুষ। সঙ্গে দিঘা মোহনায় রুপোলি শস্য ভাণ্ডারের চোখ ধাঁধানো ঝলক। আর এদিন সামুদ্রিক রুপোলি শস্য দেখতে দিঘা মোহনায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।

গত দুবছর দিঘার সমুদ্রের রুপোলি শস্য ইলিশের সেইভাবে দেখা মেলেনি। গত দু’দিন ধরে দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ সহ অন্যান্যরা সামুদ্রিক মাছ। ইলিশ সহ সামুদ্রিক মাছ দেখতে রবিবার সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মাঝেও দিঘা মোহনায় পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ছাতা মাথা দিয়ে আনন্দ উপভোগ করে চলেছেন পর্যটকরা।
এদিকে বিগত দু’বছর মৎস্যজীবীদের মুখ গোমড়া থাকলেও চলতি মরশুমে ঢেলে ইলিশ উঠেছে দিঘা থেকে। ২৫ টনের মতো ইলিশ উঠেছে জেলেদের জালে। দুদিন আগেই ২৫ টনের মতো ইলিশ উঠে আসে দিঘার মৎস্যজীবীদের জালে। ওজন ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন জাল ভর্তি ইলিশ পেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা দিঘার মৎস্যজীবীরাও। অনেকেই বলছেন, আরও হোক ইলশেগুঁড়ির বৃষ্টি। মৎস্যজীবী থেকে অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বলছেন, আজ তো মোটে ২৫ টন। আরও মাছ আছে সমুদ্রে থাকা অনেক ট্রলারেই। সেগুলি ঘরে ফিরলেই বাজার ছেয়ে যাবে রুপোলি শস্যে। জোগান বেশি থাকায় দামও খানিকটা কমতে পারে।
