উইম্বলডনে জয়ী প্রথম অবাছাই মহিলা ভন্দ্রোসোভা,কোচকেও ট্যাটু করাবেন !

তবে কোচকে ট্যাটু করাতে নিয়ে যাবেন তিনি। কোর্টে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সে কথা।

এক ঝলকে দেখলে মনে হবে, হাতে আঁকিবুকি কাটা। টেনিস ছাড়া মার্কেতা ভন্দ্রোসোভার এটি দ্বিতীয় শখ। গায়ে নিত্যনতুন ট্যাটু করানো। যখনই সময় পান, নতুন কিছু আঁকিয়ে ফেলেন হাতে। উইম্বলডনের মহিলাদের সিঙ্গলসে ওপেন যুগে প্রথম অবাছাই হিসাবে ট্রফি হাতে তোলার পর চেক প্রজাতন্ত্রের খেলোয়াড় আরও ট্যাটু করাবেন কি না জানা নেই। তবে কোচকে ট্যাটু করাতে নিয়ে যাবেন তিনি। কোর্টে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সে কথা।

শনিবার উইম্বলডন জিতে গোল থালাটা নিয়ে সেন্টার কোর্টে দাঁড়িয়ে কোচ জ্যান মার্টলের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘‘কী, মনে আছে তো?’’ গ্যালারির ১৫ হাজার দর্শকের হাততালিতে তখন কোচের চোখ-মুখ লজ্জায় লাল। ভন্দ্রোসোভাকে দেখে মনে হচ্ছিল, এই ‘ম্যাচ’টা জিতে তিনি বেশি খুশি। বললেন, “কোচকে স্পষ্ট বলে দিয়েছিলাম, যদি কোনও দিন গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারি, তা হলে তোমার নিস্তার নেই। আমার মতো তোমাকেও ট্যাটু করাতেই হবে।’’
রবিবার ভন্দ্রোসোভার কাছে আরও একটি কারণে বিশেষ। গত বছর ১৬ জুলাই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে প্রথম বিবাহবার্ষিকী উদ্‌যাপন। স্ত্রী ফাইনালে ওঠার পর স্বামী স্টেপান সিমেক রাতারাতি উড়ে এসেছেন লন্ডনে। তিনি এত দিন ভন্দ্রোসোভার সঙ্গে ছিলেন না। আসলে স্টেপানকে সে ভাবে ভন্দ্রোসোভার সঙ্গে দেখাই যায় না। তার একটা কারণ আছে। ভন্দ্রোসোভা যখন বিশ্ব জুড়ে খেলে বেড়ান তখন স্টেপান বাড়িতে থেকে পোষা বিড়াল সামলান। স্ত্রী ফাইনালে ওঠার পরে সেই বিড়ালদের দায়িত্ব অন্য কারোর কাঁধে চাপিয়ে চলে এসেছেন। ভন্দ্রোসোভা ট্রফি হাতে তোলার সময় তাঁর চোখেও জল।

 

Previous articleসিডনি থেকে ফেরার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের আধিকারিককে মারধর যাত্রীর
Next articleরাজু ঝা খু.নে চার্জশিট পেশ সিটের!