মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ।সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক আগের দিন এমন হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাপে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই পরিস্থিতিতেই মণিপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অবিলম্বে এ নিয়ে কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের হুঁশিয়ারি, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।’’ শুক্রবার আবার এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।

আরও পড়ুনঃবিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ মণিপুরের হিং.সা নিয়ে মুখ খুললেন মোদি
বুধবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মণিপুরের ওই ভিডিয়ো ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে।সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরুর ঠিক আগের দিনে এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিজেপি সরকারের। তাই মণিপুরের হিংসার ঘটনায় ৭৮ দিন নীরব থাকার পর বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে মুখ খুলতে কার্যত বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত তাদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না।”

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই কুকি, জ়ো-সহ বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই হিংসার সূচনা হয় সেখানে।

গোষ্ঠীহিংসার সূচনা পর্বেই দুই মহিলা গণধর্ষণ এবং হিংসার শিকার হলেও ৭৭ দিন পরে কেন পুলিশ সক্রিয় হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এখনও পর্যন্ত মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসায় প্রায় দু’শো মানুষের মৃত্যু এবং ৬০ হাজারের বেশি গৃহহীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুধবার বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা এবং নিষ্ক্রিয়তা মণিপুরকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে গিয়েছে।’’
