সৌন্দর্য্যের কারুকৃৎ কাবেরীর “কেয়ার ইউ”

কাবেরী সাহা। বাবা কমল করের অনুপ্রেরনায় বড় হয়ে উঠা এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের স্বপ্ন ছিল মানুষের জন্য কিছু একটা করা। আর পাঁচটা মেয়ের মতই স্বামী ইন্দ্রনীল সাহা এবং মেয়ে কেকার সঙ্গে লাল-নীল-সবুজ সংসার।যদিও কাবেরীর স্বপ্ন ছিল নিজের হাতে বানানো প্রোডাক্ট বানিয়ে বাঙালীর ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়া।সেই স্বপ্নকেই বাস্তবায়নের পথে আজ কাবেরীর নতুন দুটি প্রোডাক্টের সূচনা হল।”আণ্টি ব্লেমিশ ক্রিম” এবং “এক্সপার্ট হেয়ার কালার শ্যাম্পু”।

আরও পড়ুনঃশহরাঞ্চলের গৃহহীন, ফুটপাতবাসী বা ভবঘুরেদের জন্য ১০৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্যের

কাবেরীর মেয়ে কেয়া সাহা টালিগঞ্জের অভিনেত্রী মৌবনী সরকারের হাতে তুলে দিলেন নতুন প্রোডাক্ট দুটি।
কাবেরী জানান,অনেক মানুষের স্বচ্ছলতা থাকা স্বত্বেও সৌন্দর্যের সঠিক পরিচর্যা করতে পারেন না। মুখের বলিরেখা হোক বা বার্ধক্যে কালো ছোপ ছোপ দাগ ,স্ট্রেচ মার্ক সবকিছুই দূর করতে তৈরি হয়েছে “কেয়ার ইউ” ।এই অত্যাধুনিক যুগে মডার্ন টেকনিকের সহাহতায় মানুষকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার লক্ষ্যে মডার্ন ট্রিটমেন্টের উপর ডিপ্লোমা করে মেশিন সম্বন্ধে বিস্তর জানার পর এবং কিছু ডাক্তারের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ২০১২ সালের ২২ শে জুলাই থেকে পথচলা শুরু করে “কেয়ার ইউ”। তবে এবার ঘরে ঘরে কাবেরীর রূপচর্চার প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে অনলাইন ডেলিভারি শুরুর উদ্যোগ নিলেন তিনি। অনেক অর্থ আর লড়াই করে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে কাবেরী মোট ২০ টি বিউটি প্রোডাক্ট মার্কেটে রয়েছে।যা শহর কলকাতা ছাড়িয়ে কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, দুর্গাপুর, মালদা ,শিলিগুড়ি এবং রাজ্যের বাইরে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।নতুন দুটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে কাবেরী বলেন,

১.আণ্টি ব্লেমিশ ক্রিম
কসমেটিক ,হার্বাল অনেকের মুখে শোনা যায় সানট্যান, যেকোনো কালো দাগ মুখের স্কিন নষ্ট করে দেয়।আণ্টি ব্লেমিশ কেয়ার কালো দাগ ছোপ ছোপ দাগ সরিয়ে মুখের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনে। যেকোনো স্কিনে এই আণ্টি ব্লেমিশ ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। মেয়েরা তো রয়েইছে, ছেলেরাও এই প্রোডাক্টটি সহজেই ব্যবহার করতে পারে। ক্রিমটির দামও খুবই কম। তাই সহজেই ক্রিমটি কিনতে পারেন।

২.এক্সপার্ট হেয়ার কালার শ্যাম্পু:
এই শাম্পু পুরো হার্বাল নানি বেসড শাম্পু।এটা বেশিক্ষণ চুলে মাখিয়ে রাখা প্রয়োজন হয় না। চুলে কালার দিলে যেমন মাথার পাশে লেগে থাকে কালার শ্যাম্পু লেগে থাকে না। এই শ্যাম্পু খুব বেশি হলে পাঁচ মিনিট মাখিয়েই ধুয়ে দিতে হবে।এমনকী শ্যাম্পুটি অ্যামোনিয়া ফ্রি হওয়ায় কোনও সাইড এফেক্টও নেই।

Previous articleএশিয়ান গেমসে নেই সাক্ষী মালিক, রবি দাহিয়া
Next article২০ বছরের আইনি লড়াইয়ে জয়! হাই কোর্টের নির্দেশে পেনশন চালু শিক্ষকের