গত তিন মাস ধরে জাতি দাঙ্গায় রক্তাক্ত মণিপুর(Manipur)। পরিস্থিতি আরো গুরুতর হয়ে উঠেছে বেলাগাম অনুপ্রবেশে। তথ্য বলছে, মাত্র দুদিনে ৭০০ মায়ানমারী(Myanmar) দুষ্কৃতীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে মণিপুরে(Manipur)। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারকীয় হত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি পোড়ানো, জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা। সবমিলিয়ে কার্যত বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।

তথ্য বলছে, গত ২২ এবং ২৩ জুলাই মণিপুরের হিংসা নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছিল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী সেই দিনই সাতশোর বেশি মায়ানমারের নাগরিক অনুপ্রবেশ করে ঢুকেছে মণিপুরে। তাঁদের হাত ধরেই কি অস্ত্র ঢুকেছে রাজ্যে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেেছ। অসম রাইফেলসের নজরদারির মধ্যে কীভাবে এতো সংখ্যক অনুপ্রবেশ ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী সাংসদরা। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দোস্তিদ্বার প্রশ্ন তুলেছেন, “এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয় । একটা রাজ্য টানা তিন মাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে । সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে নিয়ে এমনিতেই বেশি করে সচেতন থাকা উচিত সরকারের । তা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কেন পাকাপাকিভাবে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার।” মণিপুর সীমান্তের প্রহরায় থাকে অসম রাইফেলস। মণিপুরের এই অশান্ত পরিস্থিতিতে কিভাবে অসম রাইফেলসের চোখ এড়িয়ে এত অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঢুকলো প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই । যদিও মণিপুর রাজ্য সরকার আসাম রাইফেলস কর্তৃপক্ষের কাছে একটি বিশদ রিপোর্ট চেয়েছে কীভাবে সঠিক নথিপত্র ছাড়াই চান্দেল জেলায় ৭১৮ মায়ানমার নাগরিককে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে, মণিপুরের ঘটনার আঁচ সরাসরি আছড়ে পড়েছে মিজোরামেও। কুকি-মেতেই জাতি দাঙ্গায় প্রাণ বাঁচাতে অনেক মেতেই সম্প্রদায়ের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে পড়শি রাজ্য মিজোরামে। হিংসার ছবি দেখা যাচ্ছে মেঘালয়েও। সোমবার রাতে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দফতর ঘেরাও করে হামলা চালালো জনতা। ঘটনায় আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ৫ নিরাপত্তারক্ষী।
