পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা বা যাকে বলে ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’, তা আরও এক ধাপ এগিয়ে হয়ে গিয়েছ ‘গ্লোবাল বয়েলিং’। এক কথায়, গরমে ফুটছে গোটা বিশ্ব। উষ্ণায়ন পার করে শুরু হয়েছে ফুটন্ত যুগ। একথা জানান রাষ্ট্রপুঞ্জ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস।

আরও পড়ুন:মণিপুরে দুই মহিলাকে বিব.স্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় আরও এক গ্রে.ফতার


নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে অবিলম্বে আমূল পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন আন্তোনিও। তিনি বলেছেন, এই জুলাই মাসে গোটা বিশ্বে যে রেকর্ড-বিধ্বংসী তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে, তাতে এ কথা স্পষ্ট যে পৃথিবী একটি উষ্ণতার পর্যায় থেকে ফুটন্ত যুগে চলে গেছে। আন্তোনিও উল্লেখ করেছেন, আগামী যে দিনগুলি আসতে চলেছে, তাতে এত বছরের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে। তাঁর কথায়, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন সবেমাত্র শুরু হয়েছে।বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগ শেষ হয়েছে, বিশ্ব ফুটন্ত যুগ এসেছে। গোটা গ্রহের জন্যই এটি একটি বিপর্যয়!’

তিনি উল্লেখ করেন, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ জুড়ে যেভাবে বাড়ছে তাপমাত্রা, তা রীতিমতো ‘নিষ্ঠুর’।প্রকৃতিকে রক্ষা করতে বিশ্ববাসীর কাছে আবেদনও জানান তিনি।


প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই নাসা জানিয়েছিল, গত ১০০ বছরের তথ্য বলছে, এর আগে কখনও এতটা তেতেপুড়ে ওঠেনি ধরিত্রী। জুলাই মাসটাও এতটা গরম হয়ে ওঠেনি এর আগে কোনও দিন। নাসা বলেছে, নাসা বলছে, এই গা পোড়ানো জুলাইয়ের জন্য দায়ী ইউরোপে নজির গড়ে ফেলা তাপপ্রবাহ, গোটা সুমেরু ও ইউরেশিয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি। এর আগে প্রায় একই কথা জানিয়েছিল ইউরোপের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’।
তথ্য বলছে, জুলাইতে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যা থাকা উচিত, সে তুলনায় এ বছরের জুলাই অনেক বেশি উষ্ণ। প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ জলস্রোত এল নিনোর কারণে এ বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের। ফলে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ক্যালিফর্নিয়া এবং টেক্সাসে তাপপ্রবাহ চলছে। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে তাপমাত্রা ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নানা জায়গায় প্রচণ্ড দাবানল ছারখার করে দিচ্ছে সব। কানাডার কিছু জায়গাতেও দাবানল দেখা গেছে।
