রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বাংলার মা-বোনেদের জন্য “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে হাতে পান সাধারণ শ্রেণির মহিলারা। তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য দেওয়া হয় ১০০০ টাকা। এই প্রকল্প এতটাই জনপ্রিয় যে, অনেকেই মনে করছেন এবার পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলের বিরাট সাফল্যের পিছনে “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পের একটি বড় প্রভাব রয়েছে। এমনকী, মহিলাদের আত্মনির্ভর করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প অন্য রাজ্যগুলি নকল করছে।

আজ, শুক্রবার রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনের আলোচনাতেও “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রসঙ্গে উঠে আসে। “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। স্বয়ং মা লক্ষ্মীই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে এসেছেন ঘরে ঘরে, মন্তব্য হুমায়ুন কবীরের।


তবে এদিন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর একাধিক সমীক্ষা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, মুসলিম মহিলারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। যদি তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়, তাহলে সংখ্যালঘু হিসেবে তাঁদেরও সমপরিমাণ টাকা পাওয়া উচিত। এরপর হুমায়ুন কবীরকে “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।

নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রীর বলেন, “উনি হয়ত নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে একথা বলছেন। তবে আমি বুঝিয়ে বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এমন করেই পরিকল্পনা করা যা শুধুমাত্র সাধারণ শ্রেণি ও তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য। কোনও ধর্মের ভিত্তিতে কোনও টাকার অঙ্ক একেবারেই ঠিক হয়নি। তা মুসলিম নারীদেরও বোঝাতে হবে।”

