জয়ে ফিরল মোহনবাগান, সিএফসিকে হারাল ৪-১ গোলে, জোড়া গোল সুহেল ভাট এবং এংসন সিং-এর

বাগানের হয়ে জোড়া গোল করেন সুহেল ভাট এবং এংসন সিং। সিএফসির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অ্যালেক্স আকাশ মণ্ডল।

কলকাতা লিগে অবশেষে জয়ের সরণীতে ফিরল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শুক্রবার তারা হারাল সিএফসিকে। ম‍্যাচের ফলাফল ৪-১। বাগানের হয়ে জোড়া গোল করেন সুহেল ভাট এবং এংসন সিং। সিএফসির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অ্যালেক্স আকাশ মণ্ডল।

ম‍্যাচে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপায় বাস্তব রায়ের দল। একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করতে দেখা যায় ফরদিন আলি মোল্লাদের। তবে এদিন যথেষ্ট সপ্রতিভ দেখিয়েছে তরুণ ফুটবলাদের। গত ম্যাচে কালীঘাটের বিরুদ্ধে ড্র করার পর আজ ঘুরে কি দাঁড়াতে পারবে মোহনবাগান? এমন আশঙ্কায় দিন গুনছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। ম্যাচের শুরুতেই দু’টি কর্নার আদায় করে নেয় সবুজ মেরুন। তবে সেখান থেকে গোল পায়নি বাগান ব্রিগেড। ৪ মিনিটে দারুণ গোল করেন সোহেল। তবে তা অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। ম‍্যাচের ১১ মিনিটে সুহেল ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন। ২৬ মিনিটে যদিও উল্টে গোল খেয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। বারপোস্টের ধার ঘেসে বেড়িয়ে যায় বল। ম‍্যাচের ৩১ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় মেরিনার্সরা। ইনসাইডে এসে আউট সাইড ডজ করে দুর্দান্ত গোল করলেন সুহেল। বল আটকাতেই পারলেন না বিপক্ষ দলের গোলরক্ষক। বিরতির আগে সমতা ফেরান অ্যালেক্স আকাশ। দূরপাল্লার শটে মোহনবাগান গোলরক্ষককে কিছুই বুঝতে দিলেন না তিনি। সরাসরি জালে বল জড়িয়ে গেল। সমতা ফেরায় সিএফসি। তবে ম‍্যাচে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে দলকে এগিয়ে দেন সেই সুহেল ভাট। দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধের আগে ম্যাচের ফলাফল ২-১।

ম‍্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও চলে মোহনবাগানের আক্রমণের লড়াই। ৫২ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফরদিন আলি মোল্লা। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনলেও গোল করতে পারছিল না মোহনবাগান। শেষ অবধি ৬৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। পরিবর্ত হিসাবে নামা ডেনসং সিংয়ের দারুণ শটে গোল করেন এংসন সিং। এরঠিক দশ মিনিটের মাথায় বাগানের হয়ে ৪-১ করেন সেই এংসন সিং। সিএফসি গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ব্যবধান বাড়ালেন মোহনবাগান ফুটবলার। ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় দ্বিতীয়ার্ধে। তবে গোল সংখ্যা বাড়েনি।

আরও পড়ুন:জাপান ওপেনের সেমিফাইনালে লক্ষ‍্য, বিদায় সাত্ত্বিক-চিরাগ জুটির