IS.I চর! মার্কিন দূতাবাসের সামনে আ.টক পা.ক মহিলাকে ঘিরে তুমুল চা.ঞ্চল্য

ISI চর সন্দেহে কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা থেকে আটক পাক মহিলা। তাঁকে সন্দেহজনক ভাবে মার্কিন দূতাবাসের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে আটক করেন গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মহিলার কার্যকলাপ সন্দেহজনক বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। আইএসআইয়ের সঙ্গে মহিলার যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, হানি ট্র্যাপের মতো কোনও বিষয়ে এই মহিলার আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে মার্কিন দূতাবাসের (American Embassy) আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন ওই মহিলা। পুলিশের সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম সুমালিয়া তনবির। শুক্রবার রাতেই মার্কিন দূতাবাস ও পুলিশের সিসিটিভিতে ওই মহিলার সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়ে। মার্কিন দূতাবাসের সামনে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। দূতাবাসের পক্ষেও বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিলেন কি না, তাঁর মাধ্যমে কলকাতার ওই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটিতে অথবা আশপাশের কোথাও নাশকতার ছক আইএসআই কষে ছিল কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের এটিএস-এর হাতে ধরা পড়ে সন্দেহভাজন সীমা হায়দার। এরপর থেকে আরও সতর্ক হয়েছে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য ও শহরের গোয়েন্দারা। ২১ বছর আগে কলকাতার আমেরিকান সেন্টারের সামনে জঙ্গি হামলার ঘটনার দাগ এখনও রয়েছে। ফলে মার্কিন দূতাবাসের সামনে পাক মহিলার সন্দেহজনক আনাগোনার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

প্রাথমিকভাবে ধৃতের কাছে একটি পাকিস্তানের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় আসেন সুমালিয়া। কলকাতায় তাঁর স্বামী পারভেজ তনবির থাকেন। প্রায় ৬ মাস আগে মধ্য কলকাতার তালতলা এলাকার নবাব আব্দুর রহমান সিটের একটি বহুতলে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন ওই দম্পতি। ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত মহিলার এই দেশের ভিসা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় পারভেজের সঙ্গে আলাপ সুমালিয়ার। এর পরই ইন্টারনেটে প্রেম জমে ওঠে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সুমালিয়া ও পারভেজ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো ২০২১-এর ডিসেম্বরে সুমালিয়া চলে আসেন কলকাতায়। ভাড়া নিয়েছিলেন তালতলার ফ্ল্যাট। আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে এই দম্পতির খুব একটা মেলামেশা নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পারভেজ কোথায় কাজ করেন তাঁরা জানেন না। সুমালিয়া বিউটি পার্লার বা কোনও অফিসে কাজ করতেন বলে তাঁদের ধারণা। সম্পর্কে খুব একটা ওয়াকিবহল নন। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কেউ জানতেন, সুমালিয়া কোনও অফিসে চাকরি করেন। মহিলার গতিবিধি নিয়ে গোয়েন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন। গোয়েন্দারা মহিলার স্বামী পারভেজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেরার মুখে সুমালিয়া নিজেকে প্রথমে পাকিস্তানের পেশোয়ারের বাসিন্দা বললেও পরে কখনও তিনি করাচি, আবার কখনও বা লাহোরে তাঁর যাতায়াত রয়েছে, এমনও দাবি করেন। মহিলার কাছ থেকে একাধিক পাসপোর্ট মিলেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। সুমালিয়ার দাবি, কলকাতার ভিসা শেষ হলে তিনি মধ্যপ্রাচ্য হয়ে আমেরিকায় চলে যাওয়ার ছক কষছিলেন। সেই কারণেই আমেরিকান সেন্টারের কাছে গিয়েছিলেন একজনের সঙ্গে দেখা করতে। সুমালিয়ার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক মোবাইল থেকে জানা যায় তিনি বহুবার হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে পাকিস্তানি ফোন করেছেন। কলকাতায় বসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আইএসআইকে তিনি খবর পাচার করতেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যেহেতু আইএসআই-এর নজর থাকে সেনাবাহিনী ও আধাসেনাদের দিকে, সেই কারণে ওই মহিলা বা দম্পতি কলকাতা বা রাজ্যের সেনা বা আধাসেনা শিবিরগুলিতে যাতায়াত করতেন কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন- একাধিক বিষয়ে ফাঁকা আসন! পড়ুয়া পেতে ফের খুলল ভর্তির পোর্টাল

 

Previous articleস্পন্দনের চতুর্থ বর্ষের শারদ সম্মানের ব্যানার শ্যুট
Next articleসমস্যা কাটিয়ে সোমবার থেকে শুরু নবদিগন্ত মেট্রো স্টেশন নির্মাণের কাজ!