চলন্ত ট্রেনে RPF জওয়ানের গু.লিতে মৃ.ত ৪, ফের প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা!

অ.ভিযুক্ত আরপিএফ জওয়ান চেতন সিংকে (Chetan Singh) গ্রেফ.তার করে বোরিভালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কখনও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Accident) মতো বড় দুর্ঘটনা, তো কখনও আবার বন্দেভারতের (Vande Bharat Express) মতো ট্রেনে খাবারে মিলছে আরশোলা – কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (BJP Government) পরিচালিত ভারতীয় রেলের (Indian Railways) দৈন্যদশা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে দেশবাসীর কাছে। যাত্রী সুরক্ষা (Passengers Security) দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রেল তার প্রমাণ সোমবার ভোরে ফের মিলল।জয়পুর এক্সপ্রেসে (Jaipur Express) চলল গুলি,৩ যাত্রী সহ মৃত ১ পুলিশকর্মী! ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর ভারতীয় রেলকে কাঠগড়ায় তুলে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, যাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় আর কত রেকর্ড গড়বে বিজেপি সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থা? চলন্ত ট্রেনের মধ্যে সশস্ত্র RPF এক কামরা থেকে আর এক কামরায় বন্দুক নিয়ে দাপাদাপি করছে, অথচ সেদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই রেলের? অকারণে যে নিরীহ মানুষগুলোর প্রাণ গেল তার দায় কি মোদি সরকার (Modi Government) বা তার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Railway Minister Aswini Vaishnav) নেবেন?

সোমবারে সকালে চলন্ত ট্রেনে রক্ত ঝরলো। মুম্বইগামী জয়পুর এক্সপ্রেসে (Jaipur Express) ট্রেনের ভিতরে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীরই (RPF) এক জওয়ান গুলি চালান বলে অভিযোগ। ঘটনায় চারজন মারা যান। অভিযুক্ত আরপিএফ জওয়ান চেতন সিংকে (Chetan Singh) গ্রেফতার করে বোরিভালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এত বড় একটা ঘটনা অথচ কোনও হেলদোল নেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ? এমনিতেই পদ্মশিবির যখনই দেখে যে তাঁরা ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটে দেওয়ার একটা অলিখিত নিয়ম নিজেদের মধ্যে চালু করে দেয় বলেই ইদানিংকালে দেখা যাচ্ছে। সেই কারণে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে রেলের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি মেলেনি। কোথায় রেলমন্ত্রী (Railway Minister)?

ট্রেন যাত্রীরা জানাচ্ছেন আজ ভোর পাঁচটা তেইশ মিনিট নাগাদ মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়া ১২৯৫৭৬ জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বি৫ কামরায় এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এসকর্ট ডিউটিতে থাকা চেতন নামের একজন এসকর্ট ইনচার্জ এএসআইকে গুলি করেছেন বলে অভিযোগ। মৃত পুলিশকর্মীর নাম টিকা রাম মীনা। এরপর পাশের কামরায় গিয়ে অভিযুক্ত গুলি চালালে তিন সাধারণ যাত্রীর মৃত্যু হয় বলে খবর। এরপর দহিসার স্টেশনের কাছে চেন টেনে থামান সেই আরপিএফ কনস্টেবল। এরপর ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়েও লাভ হয়নি,  রেল পুলিশ ও অন্য আধিকারিকদের সহায়তায় অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

 

 

 

Previous articleবুদ্ধদেবের সিটি স্ক্যানের প্রাথমিক রিপোর্টে নিউমোনিয়ার লক্ষণ
Next articleমণিপুর নিয়ে উত্তাল সংসদ, শুরুতেই মুলতবি লোকসভা!